পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о গৌড়ীয়-সাহিত্য ভাণ্ডারে সিদ্ধান্ত-সঞ্জীবন-খনি নিহিত রয়েছে। গ্রাম্যকবি বা যদ্বাতদ্ব-কবি চৈতন্যলীলা লিখবার নাম ক’রে যে সকল অপসিদ্ধান্ত ও প্রাকৃত-সাহজিক-ভাব-বিভাবের আশ্রয় গ্রহণ ক’রে থাকে, তা’তে রূপানুগ অপ্রাকৃত কবিগণের কিম্বা কাব্য-নায়কের সন্তোষ হয় না ; তাই একদিন রূপান্থগবর ঠাকুর ভক্তিবিনোদ বর্তমান যুগের প্রথিতনামা কোন প্রাকৃত নাটক-লেখকের দ্বারা যখন তার চৈতন্ত-লীলা-নাটক শুনবার জন্ত বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ও অনুরুদ্ধ হ’য়েছিলেন, তখন লোকশিক্ষক ভক্তিবিনোদ কেবলমাত্র নাটকের নামশ্রবণে বঞ্চিত হবার আদর্শ না দেখিয়ে প্রাকৃত কবির সেই নাটকের অভিনয়ে কোন প্রকার সহানুভূতি প্রকাশ করেন নি। কেবল নামমাত্র-সাম্যে অপ্রাকৃতত্ব স্থাপিত হয় না। সাহিত্য-সিদ্ধাস্ত-সম্রাট স্বরূপ-গোস্বামী প্রভু একথা আমাদিগকে জানিয়েছেন,— “যদ্বা-তদ্বা’ কবির বাক্যে হয় রসাভাস । সিদ্ধান্তবিরুদ্ধ শুনিতে না হয় উল্লাস ॥ ‘রস’, ‘রসাভাস’ যার নাহিক বিচার । ভক্তিসিদ্ধান্ত-সিন্ধু নাহি পায় পার ॥ ‘ব্যাকরণ’ নাহি জানে, না জানে “অলঙ্কার” । ‘নাটকালঙ্কার’ জ্ঞান নাহিক যাহার ॥