পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 8 গৌড়ীয়-সাহিত্য তাই গৌড়ীয়-কাব্য—নিত্য-প্রাণময়। গৌড়ীয়-কাব্য প্রতীকমাত্র নয়, গৌড়ীয় কাব্যই—প্রাণ, চেতন,—কাব্য-পুরুষেরই দেহদেহী-ভেদ-রহিত শ্ৰীঅৰ্চ । যে রস কাব্যের আত্মা, সেই রসের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ অপ্রাকৃত মাধুৰ্য্য ও ঔদার্য্যরসই গৌড়ীয়-কাব্যের আত্মস্বরূপ। বৈদগ্ধাদি-গুণ পরিপূর্ণভাবে একমাত্র গৌড়ীয়-কাব্যেই পরাকাষ্ঠীপদবী লাভ করেছে। কাব্য-পুরুষের অলঙ্কার যে উপমা প্রভূতি, তাহ গৌড়ীয়-কাব্যে যে প্রকার আছে, তা’র উপমা তার কোথায় পাওয়া যায় ? প্রাকৃত কবিগণও তা’র প্রশংসা না ক’রে থাকতে পারেন না। কাব্য-পুরু ষর অঙ্গসৌষ্ঠবস্বরূপ ‘বৈদভী-পাঞ্চালী-গোঁড়ী-লাটা’ রীতিচতুষ্টয় গৌড়ীয়-কাব্যে প্রচুর। বাহুল্য-ভয়ে এখানে উদাহরণ প্রদর্শিত হ’তে না পারলেও যারা অপ্রাকৃত রূপানুগগণের আনুগত্যে গৌড়ীয়-কাব্যের কিছু আলোচনা করেছেন, তারাই এ কথার যথার্থ উপলব্ধি করতে পারবেন। গৌড়ীয়-কবিকুলশিরোমণি শ্ৰীৰূপের কাব্য, শ্ৰীসনাতনের কাব্য, কবিকর্ণপুরের চৈতন্যচরিতমহাকাব্য, শ্ৰীল কবিরাজগোস্বামী প্রভূর “গোবিন্দলীলামৃত মহাকাব্য’, শ্ৰীল চক্রবর্তী ঠাকুরের “কৃষ্ণভাবনামৃত মহাকাব্য” প্রভৃতি—গৌড়ীয়কাব্যের বিজয়স্তম্ভ। শ্ৰীল চক্রবর্তী ঠাকুরের “প্রেমসম্পূট” প্রভৃতি খণ্ডকাবাও-অপ্রাকৃত রাজ্যের মহামরকত খণ্ডস্বরূপ ।