পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য به ون যিনি আশৈশব মহাপ্রভুর চরিত্র ও বিলাস-বিষয়ে সুবিজ্ঞ, সেই তত্ত্বজ্ঞ “মুরারি’—এই মঙ্গলনামা কোন এক মহাত্মা যে যে বিলাস-লালিত্য সম্যগৃরূপে লিখেছেন, আমি শিশু তাই দেখেই এই মহাকাব্য রচনা করেছি । ঐল স্বরূপ দামোদরের কড়চা মহাপ্রভুর অস্ত্যলীলাবর্ণনে শ্রীচৈতন্যচরিতামুতকার শ্রীল কবিরাজ গোস্বামী প্রভুকে অনেক উপকরণ প্রদান করেছে। শ্ৰীল স্বরূপ গোস্বামী প্রভু মহাপ্রভুর অন্তর্ণীলা কড়চা-স্বত্রাকারে ঐরঘুনাথ দাস গোস্বামী প্রভুর কণ্ঠে রেখেছিলেন। এতদ্ব্যতীত শ্ৰীল রঘুনাথ দাস গোস্বামী প্রভূ নিজেও কড়চ ক’রেছিলেন। সেই উভয় কড়চাই শ্ৰেত-পারস্পর্ঘ্যে কবিরাজ গোস্বামী লাভ করেন । শ্রীল স্বরূপ গোস্বামী ও ঐল রঘুনাথ গোস্বামী প্রভুদ্বয়ের কড়চা পৃথক্ পুস্তকাকারে লিখিত হ’ন নাই, কেবল শিষ্য-পারম্পৰ্য্যে শ্রুতি ও কণ্ঠে সংরক্ষিত ছিলেন। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত ঐস্বরূপের রঘুনাথের কড়চ্যরই নিষ্কর্ষ । আজকাল র্যা’র স্বরূপ-দামোদরের কড়চার দোহাই দিয়ে অনেক প্রাকৃত-সহজিয়া-মত কল্পনা করেন, তাদের অভিসন্ধি ও উক্তি অবৈধ । কবিরাজ গোস্বামা প্রভু বলেছেন,— “স্বরূপ-গোসাঞি আর রঘুনাথ দাস । এই দুই’র কড়চাতে এ লীলা প্রকাশ ॥