পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 е গৌড়ীয়-সাহিত্য স্বন্দরের ঐশ্বৰ্য্য ও মহিমা প্রভূতির প্রকাশে, নগরসঙ্কীৰ্ত্তনশোভাযাত্রা, কাজীদমন-লীলা, জগাইমাধাইর উদ্ধার-লীলা, চন্দ্রশেখর-ভবনে নাটকাভিনয়-লীলা, শ্ৰীহরিদাস ঠাকুরের বাইশবাজারে প্রহার-লীলা প্রভূতি বহুবিধ চিত্রের অঙ্কনে ঠাকুর মহাশয় যেরূপ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন, তাতে সাহিত্যের সৌন্দৰ্য্য-সেবিগণ সাহিত্য-মন্দিরে বসেও অলৌকিক প্রীতি লাভ করতে পারবেন—মায়িক ভোগবৃত্তি অতিক্রম ক’রে বৈকুণ্ঠের সাহিত্যগত বৈচিত্র্য লক্ষ্য করবার সুযোগ পাবেন । গৌড়ীয়-সাহিত্যিকের প্রাণ “যস্ত দেবে পরা ভক্তিৰ্যথা দেবে তথা গুরেী”—শ্রেীত বাণীর অগ্নিময়-মন্ত্রে কিরূপ দীক্ষিত, তা নিত্যানন্দ-কিঙ্কর গৌড়ীয়-সাহিত্যিক-গুরু ঠাকুর বৃন্দাবনের—“এত পরিচারেও যেই পাপী নিনা করে। তবে লাথি মারে তার শিরের উপরে ॥” “সংসারের পার হই’ ভক্তির সাগরে। যে ডুবিৰে, সে ভজুক নিতাষ্টচাদেরে।”—প্রভৃতি জগদগুরুসেবা-প্রাণময়ী দীপ্তিমতী বাণীর প্রভায় ফুটে রয়েছে। প্রাকৃত সাহিভ্যিকের অনধিকার-চর্চা সদগুরুসেবা-রহিত আধুনিক কোন কোন প্রাকৃত সাহিত্যিক “যন্ত দেবে পর ভক্তি যথা দেবে তথা গুরেী” শ্রীতিমাতার মঙ্গলোপদেশটী অত্যন্ত ভোগবুদ্ধিমূলে বুঝতে অসমর্থ হ’য়ে ঐরাপ অপ্রাকৃত-সাহিত্যিক-গুরু ব্যাসাবতারের