পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 গৌড়ীয়-সাহিত্য আর সে-সকল পদাবলী ও অনুবাদ-সাহিত্য আসল বাংলাভাষায় রচিতও বলা যায় না। আমাদের ঠাকুর বৃন্দাবনই সৰ্ব্বপ্রথমে বাংলা ভাষায় এই মহাগ্রন্থ লিখে এই জড় সৰ্ব্বস্বৈকবাদের যুগে সমগ্রবিশ্বে এক চৈতন্ত-স্বরাজ-সাম্রাজ্য স্থাপনের আশাবাণী ঘোষণা ক’রেছেন,— পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম। সৰ্ব্বত্র প্রচার হইবে মোর নাম ॥ আমাদের এই গৌড়ের সাহিত্যিক-গুরুই আগৌড়ীয় সাহিত্যিক ও গৌড়ীয়-ব্রুব সাহিত্যিকগণের চিন্তা-জগতে যুগান্তর এ’নে ভগবান হ’তে ও ভক্তের অধিকতর পূজাগৌরব ঘোষণা করেছেন,— “আমব ভক্তের পূজা আমা হৈতে বড়।” প্রাকৃত সাহিত্যিকগণও তাদের আংশিক-দর্শনে স্বীকার করতে বাধ্য হ’য়েছেন—“চৈতন্যভাগবতকে বঙ্গভাষার একখানা শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিকগ্রন্থ বলিয়া মনে করি । বঙ্গদেশে যে কোন বিষয় লইয়। প্রাচীন ইতিহাস রচনার প্রয়োজন হষ্টবে, চৈতন্যভাগবত হইতে নুনাধিক পরিমাণে তজ্জন্ত উপকরণ সংগ্রহ করা আবশ্যক হইবে। বৈষ্ণব-বিদ্বেষী সমাজ-সম্বন্ধেও চৈতন্যভাগবতে যে-সব কথা উল্লিখিত আছে, তাহা কুড়াইয়া লইলে বঙ্গদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও লৌকিক ইতিহাসের এক একখানা মূল্যবান পৃষ্ঠা সংগৃহীত হইবে।”