পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 。 গৌড়ীয়-সাহিত্য জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলকে ঐচৈতন্যচরিতামৃতের পূর্বের পুথি বলে স্থাপন করবার চেষ্টা ক’রেছেন। যদি কল্পিত জয়ানদের অস্তিত্ব শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত-রচনার পূৰ্ব্বেই থাকৃত বা সেই কল্পিত ব্যক্তি মহাপ্রভুর পর্ষদগণের মধ্যে কেউ হ’তেন, তা’ হ’লে তার নাম নিশ্চয়ই চৈতন্যচরিতামৃতে ও চৈতন্যভাগবতে থাকৃত, কিম্ব যেমন দাক্ষিণাত্যের কাম্যবন-নিবাসী শ্ৰীল প্রবোধীনন্দ সরস্বতীপাদের কথা চরিতামুতে স্পষ্ট না থাকৃলেও ভক্তিরত্নাকরাদি পরবর্তিকালের চরিতগ্রন্থে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে। তেমনি ঐ সকল গ্রন্থেও জয়ানন্দের কথা থাকৃতে পারতো। শ্রীচৈতন্যভাগবতের নাম “চৈতন্যমঙ্গল’ ছিল । শ্ৰীল কবিরাজ গোস্বামু প্রভু শ্ৰীচরিতামৃতে ঠাকুর-বৃন্দাবনের শ্রীচৈতন্ত্যভাগবতকে চৈতন্যমঙ্গল’ নামেই উল্লেখ ক’রেছেন। কিংবদন্তী এই যে, লোচনদাস চৈতন্যমঙ্গল’ নামে মহাপ্রভুর চরিত্রসম্বন্ধী অপর একটী গ্রন্থ রচনা করবার পর শ্ৰীনারায়ণীদেবীর ইচ্ছায় ঠাকুর বৃন্দাবন তা’র গ্রন্থের নাম চৈতন্যভাগবত প্রদান করেন । ঐল ঠাকুর বৃন্দাবনের চৈতন্যভাগবতের নাম শ্ৰীল লোচনদাসের চৈতন্যমঙ্গলে উল্লিখিত আছে, আবার ঠাকুর বৃন্দাবনের চৈতন্তমঙ্গলের কথ। কবিরাজ গোস্বামী প্রভুর গ্রন্থে উল্লিখিত আছে। কিন্তু কল্পিত জয়ানন্দের পুথির কথা কোন প্রামাণিক গৌড়ীয়বৈষ্ণব-সাহিত্যিকের গ্রন্থে নেই ।