পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮏ←8 গৌড়ীয়-সাহিত্য স্বরূপ-দামোদরের কাছে সাহিত্য-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হ’য়ে কোন সাহিত্যিক বা কবিরই মহাপ্রভুর কাছে কোন প্রকার গীতি, পদ, নাটক বা কাব্য শুনাবার অধিকার ছিল না ; কারণ, মহাপ্রভু কোনপ্রকার তত্ত্ববিরোধ বা রসাভাদ সহ করতে পারতেন না। বৈষ্ণব-সাহিত্যিকগণেরও দেই প্রকার চিত্তবৃত্তি। ভগবান আচাৰ্য্য যখন বঙ্গদেশীয় কবির পক্ষ থেকে স্বরূপদামোদরের কাছে উক্ত নাটকটী শুনাবার প্রস্তাব নিয়ে গেলেন, তখন স্বরূপদামোদর বল্লেন,—“তুমি উদার গোপ-প্রকৃতি ; তোমার কাছে সবই ভাল ব’লে বোধ হয় ; কিন্তু এসকল ষত্ব-তত্ত্বকবির কাব্য শুনে গৌড়ীয়গণের সুখ হয় না ; কেননা, যশরা অকৃত্রিম গৌরকৃষ্ণগত-প্রাণ নয়—যা”দের জীবন ও সাহিত্য একমুয়ে বাধা নয়—লাহিত্যটা কেবল যাদের কোন না কোন অন্তাভিলাষ বা কনককামিনী-প্রতিষ্ঠা সঞ্চয়ের একটা যন্ত্রমাত্র, তাদের কাব্যে সিদ্ধাস্তবিরোধ ও রসাভাস-দোষ থাকবেই থাকৃবে। তা’র পূর্ণভাবে শ্রেীতপথ অবলম্বন না করায়, কখনও কখনও বা কোন প্রকৃত বৈষ্ণব-সাহিত্যিকের অনুকরণ ক'রে দু’-চারটা ভাল কথা ব’লে ফেলতে পারে ; কিন্তু যেখানেই তারা তাদের নিজমনঃকল্পনা ও উচ্ছ,সি এনে ফেলবে, সেখানেই তত্ত্ববিরোধ, না হয়, রসাভাস-দোষ ক’রে বসবে। তাই এদের কাব্যসাহিত্য শুনতে শুদ্ধবৈষ্ণবদের মুখ হয় না। আর দেখ,