পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bby গৌড়ীয়-সাহিত্য “বিরক্ত হইয়া স্ত্রীসঙ্গ না যুয়ায় । রস জানিবারে প্রবেশয় পরকায় ॥ রাণীগণ-সঙ্গে রস-বিহার করিয়া । জানিব রসের রীত শত আস্বাদিয়া ॥ রস জানিবার হেতু তাৎপৰ্য্য অস্তরে। রাধাকৃষ্ণ-রসতত্ব জানিব অদূরে।” (—ভক্তমাল ১১শ মালা ) এরূপ বিচার কোন গৌড়ীয় সাহিত্যিকেরই হ’তে পারে না । ইহা সম্পূর্ণ তত্ত্ববিরুদ্ধ রসিকক্রবগণের প্রাকৃতসাহজিক-বিচার । যদি ইহাই মহ প্রভুর সিদ্ধাস্ত হ’ত যে, প্রাকৃতরসের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ক’রে অপ্রাকৃতরসে প্রবেশ-লাভ হয়,--পশুপক্ষীর প্রেম অনুধাবন করতে করতে কৃষ্ণপ্রেমে অধিকার হয়,—রাধাকৃষ্ণের লীল। আস্বাদন করতে হ’লে অভুক্ত বৈরাগী থাকৃলে চলে না, —নপুংসক রসিকক্রবগণের (Bogus) মতে ভুক্তবৈরাগী ত’তে হয়—বাস্তাশী হ’তে হয়, তাহলে মহাপ্রভুর শ্রীরঘুনাথ ভট্টগোস্বামীর প্রতি “বিবাহ ন৷ করিহ বলি’ নিষেধ করিল” প্রভৃতি বাক্যের সার্থকতাই থাকে না। শ্রীরঘুনাথ ভট্ট গোস্বামিপ্রভু কিরূপ অষ্টপ্রহর রাধাকৃষ্ণের সেবারসে নিমগ্ন থাকতেন, তা’ চরিতামৃতের পাঠকমাত্রেই জানেন ; অথচ মহাপ্ৰভু সেই রঘুনাথের সঙ্গে নীলাচলে আগত কাব্য-প্রকাশের অধ্যাপক রামাননী