পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ের ইতিহাস । بر দৈর্ঘ্য ২০০ ফুট এবং ইহার উত্তরে বর্গক্ষেত্রাকৃতি প্রাচীর বেষ্টিত একটা স্থান আছে। এই স্থানের প্রত্যেক দিক ১০০০ ফুট দীর্ঘ। তাহারও উত্তরে আর একটা দুর্গবদ্ধ স্থান আছে ; ইহার মধ্যে উত্তর পশ্চিমাংশে সাহ বোথারির যে সমাধি-স্থান দৃষ্ট হয়, তাহা কোন হিন্দু মন্দির ভাঙ্গিয়া প্রস্তুত হইয়াছে । দেবকোটের নিকটে বাণপালের স্ত্রী কালারাণীর নামে পরিচিত একটা দীর্ষিক পরিদৃষ্ট হয় তাহার দৈর্ঘ্য ৪০ ০০ ফুট ও প্রস্থ ৮০ • ফুট । দেবকোটের তুর্গ প্রাচীর রক্তবণ মৃত্তিকার দ্বারা নিৰ্ম্মিত ছিল বলিয়া, দেবকোটকে লোকে শোণিতপুরও বলিত। এ কালের লোকে অনিরুদ্ধের শ্বশুর ও উষার পিতা বাণের সঙ্গে বাণপালকে মিশাইয়া সহস্র বাহু বাণের সমস্ত বিবরণ বাণপালের উপর আরোপিত করিয়াছে। বাস্তবিক উষার পিতা বাণ মধ্যভারতের কোন স্থানের লোক ছিলেন । কিন্তু দেবকোটকে বাণ রাজার পুরী বলিয়া ষে প্রবাদ প্রচলিত আছে, তাহা নিতান্ত আধুনিক নহে। এমন কি, লক্ষ্মণ সেনের সময়ে রচিত ত্রিকাগুশেষ নামক সংস্কৃত কোষেও দেবীকোট বা দেবকোটকে শোণিতপুর ও বাণাসুরের পুরী বলিয়া বর্ণন করা হইয়াছে । 縣 দিনাজপুরে তপনদীঘী নামে একটা দীঘী দেখা যায়। লোকে বলে—উহার প্রকৃত নাম তৰ্পণ দীঘী ; বাণপালের তপণের জন্য দীঘী কাটা হয়। দীর্ঘীট প্রাচীন বটে। বুলবুল চণ্ডীর নিকট বাণপুর নামক নগর ( এখন গ্রাম ) বাণপালের স্থাপিত বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। দিনাজপুর হইতে কান্তনগরের পথে উত্তর-গোগ্ৰহ নামক দুর্গের মৃৎপ্রাচীর দৃষ্ট হয়। লোকে মহাভারতোক্ত মৎস্তরাজ্যের উত্তর গোগৃহসহ ইহাকে অভিন্ন মনে করে। ইহা যে সম্পূর্ণ ভ্ৰম, তাহাতে সন্দেহ নাই। কেন যে এই স্থানের উত্তর-গোগৃহ নাম হইল, তাহা বুঝা যায়