পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> a २ গৌড়ের ইতিহাস । রাখার জন্য যে কাৰ্য্যালয় ছিল, বিষয়পতি তাহার অধ্যক্ষ ছিলেন। বিষয় কাৰ্য্যালয়ে জমীর পরিমাণ ও রাজস্বের হিসাব থাকিত। হিন্দু রাজত্বকালে উড়িষ্যাদেশে বিষয়ী ও বিষয়পতি রাজার নিকট রাজস্ব-আদায়ের জন্য দায়ী ছিলেন। নিকটবৰ্ত্তী গৌড় রাজ্যেও যে ঐরুপ বন্দোবস্ত ছিল, তাহা আমরা অনুমান করিতে পারি। দক্ষিণ ভারতে বিষয়ীকে দেশমুখ বলিত। মুসলমান আমলে বিষয়পতিদিগের চৌধুরী নাম হইয়াছে। যষ্ঠাধিকৃত রাজস্ব-সংগ্রাহক ছিলেন, ইনি মুসলমান আমলের মজুমদার। উড়িষ্যায় সামস্তের, রাজ্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের সেনাপতিও ছিলেন। গৌড়রাজ্যেও সেইরূপ ব্যবস্থা ছিল । মহাসামন্তাধিপতি সামন্তদিগের ও সৈন্তের তত্ত্বাবধায়কছিলেন। কায়স্থেরা তৎকালে গোমস্তার কার্য্য করিত। জ্যেষ্ঠকায়স্থ “বিষয়” কাৰ্য্যালয়ে থাকিয় তাহাদিগের কার্য্য-প্রণালীর তত্ত্বাবধারণ করিতেন । মহত্তর কৰ্ম্মচারীর কি কৰ্ত্তব্য ছিল বুঝা যায় না । “কথাসরিৎসাগরে” এই পদাধিষ্ঠিত কৰ্ম্মচারীর উল্লেখ আছে। র্তাহারা রাজার অন্তরঙ্গ স্বরূপ ছিলেন। মহামহত্তরের অধীন অবশু বহু মহত্তর কৰ্ম্মচারী থাকিতেন। দশগ্রামের রাজস্ব-সংগ্রহের জন্ত দশগ্রামিক নিযুক্ত হইত, তাহারা জ্যেষ্ঠকায়স্থের অধীন ছিল। প্রত্যেক বিষয়ে যে সকল গোমস্ত বা পাটওয়ারি নিযুক্ত হইত, তাহার জ্যেষ্ঠকায়স্থের অধীন ছিল । উড়িয্যায় হিন্দু আমলে করণ জাতীয়ের এইরূপ কাৰ্য্য করিত। যে রাজতন্ত্র এতগুলি ভিন্ন ভিন্ন তন্ত্রে বিভক্ত ছিল, তাহার রাজকাৰ্য্য যে সুন্দরক্ষপে পরিচালিত হইত, তাহাতে সন্দেহ নাই। ধৰ্ম্মপালের মহাসামন্তের নাম নারায়ণ বৰ্ম্ম । ইনি জাতিতে ক্ষত্রিয় ছিলেন। তাম্রশাসনে রাজপুত্র দেবটকৃত আলির উল্লেখ আছে। তিনি কোন রাজার পুত্র জানা যায় না। এই তাম্রশাসন খানি, ধৰ্ম্মপালের রাজত্বের দ্বাত্রিংশ বর্ষে প্রদত্ত হয়। ইহা কোন ব্যক্তি বিশেষকে দেওয়া হয় নাই । মুন্ন