\రిన গৌড়ের ইতিহাস । “তস্তাপি সহোদরে নরপতিদিব্য প্রজা নির্ভর ক্ষোভাষ্কত বিব্রত বাসব বৃতি: শ্রীরামপালোহভবৎ । শাসত্যেব চিরং জগন্তিজনকে য: শৈশবে বিস্ফুরং তেজোভিঃ পরচক্র চেতসি চমৎকারং চকার স্থিরং ” স্বৰ্গীয় উমেশচন্দ্র বটব্যাল মহাশয় পাণ্ডুয়ায় “সেখ শুভোদয়” নামক গ্রন্থ প্রাপ্ত হন । এই গ্রন্থের ঐতিহাসিক মূল্য অতি সামান্ত । যখন মোগলেরা বাঙ্গলা জয় করিয়া নিষ্কর ভূমির অনুসন্ধান আরম্ভ করেন, তৎকালে পাণ্ডুয়ার প্রচুর নিষ্কর ভূমি কে কাহাকে দান করিয়াছিল, এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। পাঠান-রাজগণ এই সকল ভূমি মকড়ম সাহ জালাল ও নুরকুতব আলমকে নিষ্কর প্রদান করিয়াছিলেন । এই গ্রন্থে সেন-রাজগণের বিষয় কিছু বর্ণিত হইয়াছে, গ্রন্থের ভাষা অশুদ্ধ সংস্কৃত । পণ্ডিত হলায়ুধ মিশ্রকে এই গ্রন্থের রচয়িতা বলা হইয়াছে। উহাতে লিখিত আছে ;–রামপাল দেব যখন সুরধুনীতীরে দেহ বিসর্জন করেন, তখন মন্ত্রিগণ মহাদেবের স্বপ্লাদেশে কাঠুরিয়া বিজয় সেনকে রাজা করেন। অবশু বিজয়সেন কাঠুরিয়া ছিলেন না এবং রামপাল হইতে পাল-রাজত্ব শেষ হয় নাই। তবে এরূপ হইতে পারে যে, রামপালের সময় হইতেই বিজয়সেনের প্রতাপ পালরাজ্যে অনুভূত হইতেছিল। বিজয় সেন গৌড় অধিকার করিলে, গৌড়রাজ্যের উত্তর ভাগ কিছুদিন পালরাজগণের অধীন ছিল। “সেখ শুভোদয়া”য় আছে—রামপাল পরম বৈষ্ণব ছিলেন । এই গ্রন্থে আছে – “শাকে যুগ্মবেণুরন্ধগতে কস্তাং গতে ভাস্করে কৃষ্ণে গীম্পতিবাসরে যমতিথৈ যামন্বয়ে বাসরে । জাহ্নব্যাং জলমধ্যতত্ত্বনশনৈধাত্বাপদং চক্রিণে হা পালাম্বয়মৌলিমগুনমণি; ক্রীরামপালো মৃতঃ ”
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬০
অবয়ব