পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>S)と。 গৌড়ের ইতিহাস গিয়াছে । তাহার মাতার নাম মদনদেবী । মদনপাল জ্যোৎস্নাধবল কীৰ্ত্তিপূর দ্বারা জগং পূর্ণ করিয়া সপ্তসাগরমেখলা পৃথিবীকে পালন করিয়া ছিলেন । যথা – “তদন্তু মদনদেবী-নন্দনশ্চন্দ্রগেীরৈশ্চরিতভূবনগর্ভঃ প্রাংশুভিং কীৰ্ত্তিপূরৈঃ। ক্ষিতিমনবমতাতস্তম্ভ সপ্তান্ধিকাঞ্চী মভূত মদনপালো রামপালাত্মজন্ম ॥” এই তামশাসন হইতে আমরা সপ্তদশজন রাজার পরিচয় পাইতেছি । মদনপালের রাজত্বের অষ্টমবর্ষে তাম্রশাসন উৎকীর্ণ হয়। রাজমহিষী চিত্রমতিক দেবী বটেশ্বর স্বামি-নামক ব্রাহ্মণকে মহাভারত-পাঠে নিযুক্ত করেন। মহাভারতপীঠের দক্ষিণস্বরূপ ইহা প্রদত্ত হয় । ভগবস্তং বদ্ধভট্টারকমুদ্ধিশু অর্থাৎ ভগবান বৃদ্ধ ভট্টারক প্রীত হইবেন মনে করিয়া রাজা মহাভারতপীঠের দক্ষিণাদান করেন । ইহা হইতে প্রতীত হইতেছে যে, সেই সময় রাজসংসার হইতে হিন্দু ও বৌদ্ধের পার্থক্য সম্পূর্ণ তিরোহিত হইয়াছিল। সাধারণতঃ শৈবপন্থ বৌদ্ধমতকে ছাড়াইয়া উঠিয়াছিল। ভাগীরথী-তীরবর্তী রামাবর্তী সমাবাসিত জয়স্কন্ধাবার হইতে এই তাম্রশাসন প্রদত্ত হইয়াছে। ভাগীরথীতে নৌ-সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সুপণ্ডিত নগেন্দ্রনাথ বসু বলেন, রামাবতী বৰ্ত্তমান রামপাল । উহ মহীপাল দীঘি হইতে দুই ক্রোশ উত্তর-পূৰ্ব্বে অবস্থিত। আমাদের ইহা সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না ; এরূপ হইলে রামাবতী ভাগীরথী-তীরবর্তী হয় না। প্রাচীন ধৰ্ম্মমঙ্গল কাব্যে রামাবতী রমতী মামে উক্ত হইয়াছে, উহা যে গৌড় হইতে বেশী দূরবর্তী ছিল না, তাহার সন্দেহ নাই। পরমসৌগত, পরমেশ্বর, পরম ভট্টারক ও মহারাজাধিরাজ এই বিশেষণ চতুষ্টয়ে মদনপালকে বিশেষিত দেখিতে পাই । পুও বৰ্দ্ধন