পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়। Y&Y. নামে পরিচিত আছে। কৃষি ও যোতিষ সম্বন্ধীয় বচনগুলি “খনারবচন” বলিয়া আখ্যাত। এইগুলি বৌদ্ধযুগের রচনা। এইকালে প্রজাগণ কড়িতে রাজস্ব প্রদান করিত। ৬ প্রজাসাধারণ যেরূপ ঘরে বাস করিত, তাহ বাঙ্গলাঘর নামে পরিচিত আছে। এই সময়ে লোকে বিলাসী ছিল না । কিন্তু দেশে ঐশ্বর্য্যেরও সীমা ছিল না । রাজারা সোণার খাটে বসিয়া রূপার খাটে পদস্থাপন করিতেন—এরূপও বর্ণিত আছে। ইন্দ্র কম্বল, পাটের পাছড়া, দগুপাখা বিলাসের সামগ্রী ছিল । ইন্দ্রমিঠা নামক মিষ্টদ্রব্যের নাম পাওয়া যায়। বড়লোকে বংশহরির গুয়া দিয়া মুখ শুদ্ধি করিতেন। ব্রাহ্মণভদ্রগণও কৃষিকাৰ্য্য করিতেন । সন্তান জন্মিলে সাতদিন পরে সাদিন, দশদিন পরে দিশা, ও ত্রিশ দিন পরে ত্রিশ নামক উৎসব করা হইত। বাঙ্গলার বণিগগণ পূৰ্ব্বদিকে ভারতসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্য্যন্ত এবং কখনও কখনও চীনদেশ পর্য্যস্ত বাণিজ্য করিতে যাইতেন। বণিগদিগের সঙ্গে যে নৌকাশ্রেণী চলিত, তাহার শ্রেষ্ঠ নৌকাকে মধুকর বলিত। প্রধান বণিক্‌ তাহাতে আরোহণ করিতেন। নৌকাশ্রেণীর ভিন্ন ভিন্ন অংশের ভিন্ন ভিন্ন নাম ছিল। গৌড়রাজ্যে বিশুদ্ধ বৌদ্ধধৰ্ম্ম কখনও প্রচারিত হয় নাই। বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রগাঢ় চিস্তাপ্রস্থত ধৰ্ম্ম, তাহা সাধারণের অবলম্বনীয় নহে। বৌদ্ধপ্রচারকেরা ইহা বুঝিতে পারিয়া নূতন প্রণালী অবলম্বন করেন। বড় বড় মন্দির নিৰ্ম্মাণ ও তন্মধ্যে নানা প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করিতেন। সেই সকল দেবপ্রতিমার মধ্যে কতকগুলি বিদেশীর আমদানি । বৌদ্ধ আচার্য্যের সাধারণের মনোরঞ্জনার্থ নানা উৎসবের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন । এই কারণে Tম সোণার কড়ি ও রূপার কড়িরও প্রচলন ছিল। গোবিন্দচন্দ্রের গীতে আছে,হাড়িপ। যোগমাগৈ প্রবিষ্ট স্বীয় শিষ্য গোবিন্দচন্দ্রকে চারি কড়া সোণার কড়িতে হীaাদারি नाम्रो ८षश्चांब्र निकॐ रुकक ब्राशिग्नाहिtलन । '