ज«gभ छाथjॉर्मू ! >やゆ。 ভাগীরথাঃ পূৰ্ব্বভাগে দ্বিযোজনতঃ পরে পঞ্চমযোজন পরিমিতে হপবক্ষোহি ভূমিপ। উপবঙ্গে যশোরাদিদেশাঃ কাননসংযুক্তা: জ্ঞাতব্য নৃপ-শাৰ্দ্দলবহুলাস্ক নদীঘু চ।” এই উপবঙ্গ নদীও জঙ্গলে সমাচ্ছন্ন ছিল । বোধ হয়, বাগুরি বা বাউরিজাতির নামানুসারে বাগড়ি নাম হইয়াছে । উপবঙ্গের গঠন-কালে বারংবার আগ্নেয়-উৎপাত ঘটিয়াছিল। কলিকাতা অঞ্চল খনন করিয়া দেখা গিয়াছে, সে প্রদেশের অরণ্য, আরণ্য-জন্তুসহ বারংবার বসিয়া গিয়াছিল। বঙ্গ ও উপবঙ্গ, ব্ৰহ্মপুত্র, মেঘনাদ (মেঘনা) ও গঙ্গার বদ্বীপে গঠিত। রাঢ়, বরেন্দ্র, বঙ্গ ও মিথিলা পূৰ্ব্ব হইতেই ধন-জন-পরিপূর্ণ ছিল ; কিন্তু বাগড়িতে মনুষ্যের বাস ছিল না ; এই স্থান সমুদ্র-গর্ভ হইতে মস্তক উত্তোলন করিতেছিল। আকবরনামায় ইহার ভাটিনাম দেখা যায়। বাগড়ির দৈর্ঘ্য ৫৫০ মাইল ও বিস্তার ৩১২ মাইল । পূৰ্ব্বে বিক্রমপুর পদ্মার দক্ষিণে ছিল ; তখন ধলেশ্বরী দিয়া পদ্মা প্রবাহিত হইত ; অতএৰ বিক্রমপুর, পূৰ্ব্বে বাগড়ির অন্তর্গত ছিল। এখন উহা বঙ্গের অন্তর্গত হইয়াছে । বাগড়ির এই অংশই প্রাচীন সমতট । সেন-রাজবংশের সময়ে বাগড়ি যে যে ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত ছিল, তাহ লিখিত হইতেছে ;– (১) অন্ধ দ্বীপ—বনগ্রাম, গৌরীপোতা, যাদবপুর, আন্ধারকোটা প্রভৃতি । (২) সূৰ্য্যদ্বীপ—ইচ্ছামতী হইতে মধুমতী পৰ্য্যন্ত ভৈরব নদের উত্তর তীরবর্তী সমুদয় বিভাগের নাম স্থৰ্য্যদ্বীপ। এই স্বৰ্য্যদ্বীপ, লাট, কঙ্ক ও যোগীন্দ্রনামে তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। চিত্রানদীর সমীপবৰ্ত্তী স্থানকে কঙ্কদ্বীপ বলিত ; ইহা হইতে কাকদি-পরগণার নাম হইয়াছে। চুয়াডাঙ্গ
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৩
অবয়ব