পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ের ইতিহাস । فيينا لا —উত্তর রাঢ়ের অন্তর্গত হইত। অজয়নদ দ্বারা রাঢ়দেশ, উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে বিভক্ত হইয়াছিল। বর্তমান ময়ূরভঞ্জ হইতে চুটিয়া নাগপুরের জঙ্গলমহল পর্য্যস্ত স্থানকে ঝাড়খণ্ড বলিত ; এখন ময়ূরভঞ্জের রাজাকে “ঝাড়খণ্ডকা রাজা” বলা হয়। এই প্রদেশ, উৎকল ও রাঢ়ের মধ্যবৰ্ত্তী হওয়ায়, ইহাকে মধ্যদেশও বলিত। এখান হইতে শাকদ্বীপী ব্রাহ্মণের পুণ্ড রাজ্যে আগমন করেন। স্থানীয় কিম্বদন্তী হইতে জানা যায়, রাঢ়ে আর্য্যোপনিবেশ স্থাপন কালে কৃষ্ণবর্ণ অনার্য্যজাতিগণ বড় বাধা দিয়াছিল। বৈজুনামক অনাৰ্য্য দম্পতি ব্রাহ্মণদের দেবমূৰ্ত্তিকে প্রহার করিত। সম্ভবতঃ অনাৰ্য্যদের দেবতাকে বৈজুনাথ নাম দিয়া আৰ্য্যগণ পূজা করিতে সন্মত হইলে, বিবাদ নিস্পত্তি হয়। বৈজুনাথ ক্রমে বৈষ্ঠ নাথ হইয়াছেন । পদ্মপুরাণ ও দেবীভাগবতে বৈদ্যনাথের নাম আছে । বৈদ্যনাথের নিকটবৰ্ত্তী স্থানে বৌদ্ধস্ত,পের চিহ্ন দেখিয়া বোধ হয়, বৌদ্ধেরাও এখানে বিহার ও স্তুপ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । উত্তর রাঢ়ে, কোন সময়ে,তান্ত্রিকমত বিশেষরূপে প্রচলিত হইয়াছিল । তন্ত্রোক্ত একান্ন পীঠের মধ্যে ৭টী উত্তর রাঢ়ের অন্তর্গত , সেই সাতটী এই—অট্টহাসে দেবী ফুল্লরা, কিরীটে দেবী বিমলা, নলহাটতে দেবী কালিকা, কেতুগ্রামে দেবী বহুলা, ক্ষীরোদগ্রামে দেবী যুগান্তী, বক্রেশ্বরে মহিষমদিনী ও নন্দিপুরে দেবী নন্দিনী । আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, দেবী পুরাণে যে ১০৮টা পাঠের নাম আছে, তন্মধ্যে অট্টহাস ব্যতীত একটরও নাম নাই । দেবীপুরাণ খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত বলিয়া বোধ হয়, তখন এই সকল স্থান তীর্থরূপে কল্পিত হয় নাই । শৈবমত, শাক্তমত, সৌরমত, বৌদ্ধমত ও পরিশেষে বৈষ্ণবমত সময় বিশেষে রাঢ়ে আধিপত্য করিয়াছিল । ry মহানন্দার পশ্চিমদিকবৰ্ত্তী ভূভাগকে মিথিলা বলা হইত। বল্লালসেন