পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እዋ። গৌড়ের ইতিহাস । বারেজ কুলপঞ্জীমতে বল্লাল সেন বরেন্দ্রভূমিতে সাড়ে তিন শত ও রাঢ়ভূমিতে সাড়ে চারিশত ব্রাহ্মণ প্রাপ্ত হন । মতাস্তরে বল্লালের সময়ে রাঢ়দেশে সাড়ে সাতশত ও বরেন্দ্রে সাড়ে তিন শত ব্ৰাহ্মণ ছিলেন । রাঢ়ীয় ও বারেন্দ্র-কুলগ্রন্থের প্রত্যেকেই আপনাদিগের সংখ্যাধিক্য দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছেন । বল্লালসেন বরেন্দ্রবাসী একশত ত্ৰা যুগ পরিবারকে এ দেশে রাখিয়া, অন্ত সকলকে ভোট, দরঙ্গ, উৎকল, মগধ ও মোরঙ্গে পাঠান অথবা নিৰ্ব্বাসিত করেন :– “ভোটে যায় ষষ্টিজন মগধেতে তাই । উৎকলে পঞ্চাশৎ দরঙ্গে তত পাই ॥ মর্থী মোরঙ্গ দেশে ত্রিশ মাত্র যায়। নিৰ্ব্বাসনের এই রীতি ভাটে কয় ॥” আমাদের এই কাহিনী সত্যমূলক বলিয়া বোধ হয় না। হলায়ূধের ‘ব্রাহ্মণ-স্বৰ্ব্বস্ব’ পাঠে বোধ হয়, রাঢ়ীয় ও বারেন্দ্র ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে বেদ-চর্চা প্রায় বিলুপ্ত;হইয়াছিল। যথা:–“অত্ৰ চ কলে আয়ুঃপ্রজ্ঞোৎসাহশ্রদ্ধাদ্বীনামল্লত্বাৎ তৎ কেবলং পাশ্চাত্যাদিভিঃ বেদাধ্যয়ন মাত্ৰং ক্রিয়তে। রাঢ়ীয়বারেন্দ্রৈস্তু অধ্যয়নং বিনা কিয়দেকদেশবেদার্থস্ত কৰ্ম্মমীমাংসাদ্বারেণ যজ্ঞেতি কর্তব্যতাবিচারঃ ক্রিয়তে। ন চৈতেনাপি মন্ত্ৰকৰ্ম্মবেদার্থজ্ঞানম যতস্তত্ব পরিজ্ঞান এব শুভফলম্। তদজ্ঞানে চ দোষ শ্রীয়তে ” উ হাদিগের মধ্যে যাহার বৌদ্ধাচার অবলম্বন করিয়াছিলেন, তাহারা অনেক দিন পর্য্যন্ত সে আচার রক্ষা করেন। এই কারণে বরেন্দ্রভূমির উত্তর ভাগের ব্রাহ্মণগণ “উত্তর বারেন্দ্র” নামে এক স্বতন্ত্র শ্রেণীভুক্ত হইয়া আছেন। বল্লালসেন ই হাদিগকে কৌলীন্ত মৰ্য্যাদা দান করেন নাই । বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ একশত ব্যক্তির মধ্যে আট জন কুলীন, আটজন