পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । నలి কৌলীন্ত তোমাদের নাই কেন”–এই জিজ্ঞাসার একটা সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্ত নানাবিধ উপাখ্যানের স্বষ্টি হইয়াছে। তবে বল্লালের দৌরাত্ম্যমূলক যতগুলি উপাখ্যান প্রচলিত আছে, তাহা একেবারে ভিত্তিহীন নাও হইতে পারে। বল্লালসেনের আয় এককোটি কুড়িলক্ষ টাকা ছিল । তৎকালে দ্রব্যাদির মূল্য অতি অল্প ছিল, অতএব এই আয়কে সামান্ত নয় মনে করিতে হইবে, কিন্তু অপব্যয়ী-বল্লালসেনের ইহাতেও কুলাইত না, মধ্যে মধ্যে ঋণ করিতে হইত। ঋণ-পরিশোধে নিয়মী ছিলেন না, সুতরাং বণিকূ-সম্প্রদায়ের প্রিয় ছিলেন না । - সম্ভবতঃ বল্লাল সেনই, একডালা দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন। দুর্গ-নিৰ্ম্মাণার্থ ষে প্রভূত মৃত্তিকার প্রয়োজন হইয়াছিল, বোধ হয় তাহ সাগর দীর্ঘা খননের দ্বারা পাওয়া গিয়াছিল । সাগর দীর্ঘীর পশ্চিমদিকে একটা প্রশস্ত রাজপথ ছিল, উহা পাণ্ডুয়া হইতে বল্লালের গৌড় পর্য্যন্ত প্রসারিত ছিল। এইপথ ; কালিন্দীতে নিৰ্ম্মিত একটা সেতুর উপরদিয়া গিয়াছিল। এখনও এই সেতুর উপকরণ প্রস্তর-স্তস্তাদির কিছু কিছু দৃষ্ট হইয়া থাকে । এই পথ দিয়া পরবর্তী সময়ে সম্রাট ফেরোজ তোগলক, একডালা দুর্গ-আক্রমণার্থ সেনা পরিচালন করিয়াছিলেন। বল্লালসেন, বাগবাড়ীর মধ্যে যে দুটা পুষ্করিণী খনন করান, তাহার নাম টামনা দীঘী ও ভাতশালা দীঘী। টামন দীঘী অতি বৃহৎ । উহাতে চারিট ঘাট ছিল। উত্তরে ১ট ও দক্ষিণে ১টা, পশ্চিমদিকে দুটী। ঘাটের ইটু লোকে ভাঙ্গিয়া লইয়া গিয়াছে। ঐ ঘাট গুলি রঙ্গিণ ইটে বান্ধান হইয়াছিল। শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণলাল চৌধুরী জমিদার মহাশয়, একটা ঘাটে একখানি দৃঢ় প্রোথিত রঙ্গিণ ইট পাইয়াছেন। মুসলমানদের আগমনের পূৰ্ব্বেও যে হিন্দুর রঙ্গিণ ইটের ব্যবহার করিতেন, তাহ জানা סיצ