সপ্তম অধ্যায় । ున్ఫ সে চচ্চালোপ হইয়াছিল। এখন অবধি পুরুষোত্তমের “লঘু বৃত্তি’র প্রচলন হইতে লাগিল । জয়দেব, শরণ, গোবৰ্দ্ধনাচার্য্য, উমাপতিধর ও ধোয়ী কবিরাজ,— লক্ষ্মণসেনের সভায় বিরাজ করিতেন। রূপ ও সনাতন লক্ষ্মণসেনের সভামগুপদারে—“গোবৰ্দ্ধনশ্চ শরণে জয়দেব উমাপতিঃ । কবিরাজশ্চ রত্নানি পঞ্চৈতে লক্ষ্মণস্ত চ ||” এইরূপ লিখিত আছে দেখিয়াছিলেন। উমাপতিধর দক্ষিণাত্য-বৈদিক ব্রাহ্মণ ছিলেন । তিনি বিজয়সেনপ্রতিষ্ঠিত প্রত্যুন্নেশ্বরমন্দিরস্থিত যে প্রশস্তি রচনা করেন, তাহার বিষয় পূর্বে উল্লেখ করা হইয়াছে। জয়দেবের গীতগোবিন্দের তৃতীয় শ্লোকে আছে,— বাচঃ পল্লবয়তু মাপতিধর: সন্দর্ভগুদ্ধিং গিরয়াং জানীতে জয়দেব এব শরণঃ শ্লাঘ্যো দুরুহন্দ্ৰতে । শৃঙ্গারোত্তরসংপ্রমেয়রচনৈরাচার্য্যগোবৰ্দ্ধনস্পন্ধী কোহপি ন বিশ্রাতঃ শ্ৰুতিধরে ধোয়ী কবি ক্ষ্মীপতিঃ ।” * উমাপতির বাক্য পল্লবিত করেন--জয়দেবের এই উক্তি যথার্থ। শ্ৰীধর দাসের “স্থক্তিকর্ণামৃত” গ্রন্থে তৎসময়ের প্রসিদ্ধ কবিগণের রচিত পাঁচটা করিয়া শ্লোক আছে, কিন্তু উমাপতিধর রচিত কোন শ্লোক নাই ; ইহাতে অনুমিত হয়, তিনি কোন কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন নাই। “স্মৃক্তিকর্ণামৃত” রচনাকালে, ১২০৫ খৃষ্টাব্দে, তিনি জীবিত ছিলেন বলিয়া বোধ হয় না । উমাপতির মৃত্যু ও জয়দেবের “গীতগোবিন্দ” রচনা লক্ষণসেনের রাজত্বের প্রথমভাগে হইয়াছিল বোধ হয় ।
- এই শ্লোকটী টীকাকার নারায়ণ ভট্টের মতে লক্ষ্মণসেনের রচিত ।