পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ>o গৌড়ের ইতিহাস । গদাপাণি মহম্মদ বিন বক্তিয়ার খিলিজি নবদ্বীপের নিকটবৰ্ত্তী জঙ্গলে অধিকাংশ সেনা লুক্কায়িত রাখিয়া অত্যন্ন সেনাসহ নগরে প্রবেশ করিলেন। রাজপুরী আক্রান্ত হইলে নগর মধ্যে গোলযোগ উপস্থিত হয় । রাজা রাজপুরী পরিত্যাগ করিয়া বিক্রমপুরে পলায়ন করেন। কেহ কেহ বলেন, রাজা নিজে জগন্নাথক্ষেত্রে যান এবং রাজবংশীয়েরা বিক্রমপুরে গমন করেন । “রিয়াজ-উস-সলাতিন”-কার বলিয়াছেন, রাজা একদা আহার করিতেছিলেন ; এমন সময় বক্তিয়ার খিলিজি অষ্টাদশ মুসলমান অশ্বারোহী সেনার সঙ্গে, রাজপুরী আক্রমণ করেন। এইরূপ অতর্কিত আক্রমণে সন্ত্রস্ত হইয়া, লক্ষ্মণসেন, ধনরত্ন ভৃত্যাদি সমুদয় পরিত্যাগপূৰ্ব্বক, অনাবৃতপদে গুপ্তদ্বার দিয়া পলায়ন করেন, এবং একটী নৌকারোহণপূৰ্ব্বক কামরূপাভিমুখে প্রস্থান করেন । “তবকৎ-ই-নাসিরি” বলেন, রাজা সকনট বা সঙ্কনটে পলায়ন করেন ; তাহার দাসদাসী হস্তী ও অন্তঃপুরিকাগণ বক্তিয়ারের হস্তে পতিত হইয়াছিল। তবকৎ-ই আকবরির মতে, রাজা জগন্নাথক্ষেত্রে পলায়ন করেন । “মেলমালা’নামক গ্রন্থে আছে,— “যে কালে লক্ষ্মণসেন নীলাচলে চলে। হিন্দুরাজ্য শেষ হইল যবনের বলে ।” নবদ্বীপ রক্ষার উপযুক্ত বন্দোবস্ত থাকিলে মুসলমানেরা সহজে তাহা অধিকার করিতে পারিত না । মুসলমানসেনাগণ বেহার অধিকার করিলে, লক্ষ্মণসেনের সভাসদ পণ্ডিতের রাজাকে বলেন, “শাস্ত্রে আছে, তুরুষ্কের এদেশ অধিকার করিবে । শাস্ত্রোক্ত যে আকারের পুরুষ এদেশ অধিকার করিবে, যবন-সেনাপতির আকৃতির সহ তাহার আকৃতির সুন্দর সোসাদৃপ্ত আছে ; অতএব যুদ্ধ করিলে ফললাভ হইবে না।” পণ্ডিতদের কথায় রাজার যুদ্ধ-বাসনা তিরোহিত হইয়াছিল। রাজা নিজে অশীতিপর বুদ্ধ