বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । (f অন্তর্গত কাথি, দাতন ও ময়নাগড়ে এক একটি সঙ্ঘারাম ছিল বলিয়া বোধ হয় । প্রাচীনকালে সুহ্মদেশে ক্ষত্রিয়গণ রাজা ছিলেন। যুধিষ্ঠিরের রাজস্বয়যজ্ঞকালে তাম্রলিপ্তরাজ যে উপহার দেন, তাহ পাঠ করিলে বোধ হয়, তথায় শাল, রুমাল ও কিংখাপ আদি বহুমূল্য বস্ত্র পাওয়া যাইত । পৌরাণিক যুগে ময়ূরবংশীয় তিন জন রাজার নাম পাওয়া যায়। তৎকালে এখানে বর্গভীমা দেবীর মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাম্রলিপ্ত বা মুগ্ধরাজ্যের পশ্চিম দিক দিয়া অঙ্গরাজ্য কলিঙ্গের উত্তর সীমা স্পর্শ করিয়াছিল । কলিঙ্গ, সুহ্ম ও অঙ্গরাজ্যে প্রায় বিবাদ চলিত। ময়ুরবংশের পর কৈবৰ্ত্তগণ তাম্রলিপ্ত রাজ্য অধিকার করে । সুহ্মের নিকটবৰ্ত্তী স্থানকে প্রসুহ্ম বলিত। ইহা ধল কিশোর নদ হইতে সুবর্ণরেখা নদী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল । রাঢ় । রাঢ় প্রায়ই গৌড়ের অধীন থাকিত। অপেক্ষাকৃত অপ্রাচীন পুরাণ গ্রন্থে রাঢ়ের নাম পাওয়া যায় । ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণের প্রকৃতিখণ্ডের ১৯শ অধ্যায়ে লিখিত আছে যে, রাঢ়ীয় ও বারেন্দ্র বীরগণ শঙ্খাসুরের পক্ষে থাকিয়া যুদ্ধ করিয়াছিল। কেহ কেহ বলেন,—গঙ্গারাদ্ধ শব্দ হইতে গঙ্গারাঢ় শব্দ উৎপন্ন হইয়াছে ;-রাঢ় তাহার সংক্ষিপ্ত আকার । কেহ কেহ বলেন—এই শব্দটি সাওতালদিগের ভাষার “রাঢ়ো’ শব্দ হইতে উৎপন্ন, উহার অর্থ নদীগর্ভস্থ পাথুরিয়! জমি। মেগাস্থিনিসের গ্রন্থে রাঢ়ের গঙ্গাহৃদয় ( Gangaridai) নাম পাওয়া যায় এবং উহাতে গণকরের উল্লেখ আছে। গণকর রাঢ়ের অন্তর্গত একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম ।