প্রথম অধ্যায় । እዊ রাঢ়দেশে ও গৌড় অঞ্চলে অব্যাহত ছিল। ব্ৰহ্মাও-উপপুরাণ পাঠে জানা যায়, শ্বেত নামক রাজা গৌড়রাজ্যের অন্তর্গত রাঢ়ভূমিতে বক্রেশ্বর নামক তীর্থের প্রতিষ্ঠা করেন। খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে নলরাজগণ বীরভূম অঞ্চলে রাজত্ব করিতেন। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে রঘুনাথ সিংহ মল্ল নামক একব্যক্তি দলমাদল প্রদেশে বাগদী জাতির সাহায্যে একটী রাজ্য স্থাপন করেন। পরে দলমাদলের বিষ্ণুপুর নাম হয়। এই বংশীয়গণের আশ্রয়ে থাকিয়া পাশ্চাত্য বৈদিক মৌগিল্য গোত্রীয় মুরারি মিশ্র তাহার “অনর্বরাঘব” রচনা করেন। দিগ্বিজয় প্রকাশ নামক -সংস্কৃত গ্রন্থে রাঢ়ের এইরূপ সীমা আছে – “গৌড়স্ত পশ্চিমে ভাগে বীরদেশস্ত পূৰ্ব্বত: । দামোদরোত্তরে ভাগে রাঢ় দেশঃ প্রকীৰ্ত্তিতঃ ॥” “দিগ্বিজয় প্রকাশ” মোগল-রাজত্ব-কালে রচিত হইয়াছিল । বৰ্ত্তমান বৰ্দ্ধমান জেলায় সিংহারণ নদের তীরবর্তী সিংহপুর নগরে সিংহবাহু নামক রাজা রাজত্ব করিতেন। সিংহলের ইতিহাস মহাবংশে আছে, সিংহবাহুর পুত্র বিজয়সিংহ প্রজাপীড়ন-দোষে নিৰ্ব্বাসিত হইয়া খৃষ্ট-পূৰ্ব্ব পঞ্চম শতাব্দীতে সাতশত অনুচর সহ লঙ্কাদ্বীপে গিয়া তথাকার রাজা হন। তদবধি লঙ্কার সিংহল নাম হইয়াছে। বিজয়সিংহের श्रृङ्गाब्र পর তাহার ভ্রাতুপুত্ৰ পাণ্ডুবাস সিংহলে গিয়া রাজপদ গ্রহণ করেন। সিংহবংশ ব্যতীত শাক্যবংশও রাঢ়ে রাজত্ব করিতেন । কলিঙ্গ । দক্ষিণপথে প্রাচীন নয়ট রাজ্যের মধ্যে ইহা একটা । বৌধায়ন স্মৃতিও মনুসংহিতায় ইহা একটী অনাৰ্য্য-নিবাস বলিয়া উক্ত হইয়াছে। কিন্তু মহাভারত রচনার সময় ইহা যজীয় গিরিশোভিত এবং সতত দ্বিজগণ-সেবিত পুণ্যস্থান বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল –
পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫
অবয়ব