পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8b" গৌড়ের ইতিহাস । কোন স্থান হইতে পুও,বদ্ধনের এই দূরত্ব নির্দেশিত হইয়াছে, তাহ নিশ্চয় জানা যায় না । ইহার সময় উত্তর বিহার বৃজি ও বৈশালীরাজ্যে বিভক্ত ছিল । উভয় রাজ্যই পুণ্ড রাজ্যের পশ্চিম সীমাস্থ মহানন্দা নদী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল । গঙ্গার দক্ষিণে হিরণ্য পৰ্ব্বত রাজ্য ছিল। এই সময় ভাগলপুর, সাওতাল পরগণা ও বীরভূম অঙ্গরাজ্যের অধীন ছিল। হোয়েন সাং লিথিয়াছেন—“পুণ্ড, রাজ্যের বেষ্টন ৪০০০ লি । রাজধানীর বেষ্টন ৩• লি । রাজ্যটা ঘনবসতিসম্পন্ন। রাজধানীতে জলাশয়, রাজকাৰ্য্যালয়, ও পুষ্পোন্তানসকল শ্রেণীবদ্ধভাবে সন্নিবিষ্ট ছিল। রাজ্যের ভূমি সমতল, বালুক ও কঙ্করময় ও সৰ্ব্বপ্রকার শস্তোৎপাদনক্ষম । এই দেশে অপৰ্য্যাপ্ত কাঠাল জন্মে। জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। রাজ্যে ২০ট সঙ্ঘারামে হীনযান-মতাবলম্বী ৩০০০ বৌদ্ধশ্রমণ বাস করে। এক শত হিন্দুদেবালয় আছে। হিন্দুদিগের মধ্যে শৈব, বৈষ্ণব ও কাৰ্ত্তিকেয় উপাসক অধিক । অসংখ্য জৈন নিগ্রন্থ এই রাজ্যে বাস করে । রাজধানীর ২০ লি অন্তরে রাশিভা-সঙ্ঘারাম। তাহার অদূরে অশোক স্ত,প। এই স্তপের নিকট বুদ্ধদেব তিন মাস ধৰ্ম্মপ্রচার করেন, লোকে এইরূপ বলিত। ইহার নিকটে একটা স্থানে বুদ্ধচতুষ্ট ধৰ্ম্মপ্রচার করেন বলিয়া প্রদর্শিত হইয়া থাকে। রাশিভা-সঙ্ঘারাম-সংলগ্ন বিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংখ্যা ৭০০ সাত শত ছিল। এই বিহারে বুদ্ধের প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল । নানাস্তানের লোক প্রত্যাদেশের জন্ত এই স্থানে হত্যা দিত। পুণ্ড রাজ্য হইতে কামরূপ যাইতে, পথে পূৰ্ব্বদিকে একটা বড় নদী আছে।” অঙ্গ, কামরূপ, সমতট, কর্ণসুবর্ণ ও তাম্রলিপ্ত রাজ্য সীমান্তে থাকায়, বুঝা যায় যে, পুণ্ড রাজ্য তৎকালে খুব বড় ছিল না । হুয়েনসাং পুণ্ড বৰ্দ্ধনের তৎ

  • আমার বিশ্বাস-মালদহ জেলায় পাণ্ডুয়ার অদূরবর্তী মহানন্দাউ স্থ খালাল গ্রামের নিকটস্থ ধনামনীর টিল। এই স্ত,পের স্থান অধিকার করির আছে ।