পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&\} গৌড়ের ইতিহাস । লো-টো—বী—চি বা রক্তভিত্তি নামক সঙ্ঘারাম দর্শন করেন । তখন এই রাজ্যে দশটি সঙ্ঘারামে দুই হাজার শ্রমণ বাস করিত। কর্ণসুবৰ্ণ, পাঁচখুপী, কাটোয়া পাটলী চৌমাহ প্রভৃতি স্থানে সঙ্ঘারাম ছিল বলিয়া বোধ হয়। পাঁচখুপি পঞ্চস্তুপ, ও চৌমাহ চতুৰ্ম্মান্ত শব্দ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে বোধ হয়। নবদ্বীপের নিকট সুবর্ণবিহার ছিল । নগরে পঞ্চাশটা হিন্দু-দেবালয় ছিল ; রাজ্যের অধিকাংশ লোক হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী ছিল। রাজধানী প্রায় দুই ক্রোশ বিস্তৃত ও রাজ্যের পরিধি দেড় শত ক্রোশ ছিল ! কর্ণসুবর্ণের কোন রাজা একজন বৌদ্ধ-শ্রমণ-পণ্ডিতের প্রার্থনায় রক্তভিত্তি সঙ্ঘারাম স্থাপন করেন । কথিত আছে, দক্ষিণ ভারতের এক দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত উদরে তাম্ৰপত্ৰ বাধিয়া ও মস্তকে মশাল লইয়া ভ্রমণ করিত, এবং জিজ্ঞাসিত হইলে বলিত যে,—বিদ্যার ভারে পাছে পেট ফার্টিয়া যায়, এই জন্য উদরে তাম্রপত্র বাধিয়াছি, এবং অজ্ঞান লোকদিগকে জ্ঞান দিবার জন্ত মাথায় মশাল লইয়া বেড়াইতেছি । তাহার সহিত তর্ক-যুদ্ধে কাহারও অগ্রসর হইতে সাহস হয় নাই । অবশেষে নিকটবৰ্ত্তী বনবাসী এই বৌদ্ধ-শ্রমণ তাহাকে বিচারে পরাজিত করেন। এখানে একটা অশোক-স্তুপ ছিল। বুদ্ধদেব এখানে আসিয়া ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়াছিলেন, লোকের এইরূপ বিশ্বাস ছিল । কর্ণ সুবর্ণরাজ শশাঙ্কের সহিত মালবরাজের মিত্রতা ছিল। মালব-রাজ দেবগুপ্ত বিদ্রোহী হইয়া কান্তকুঞ্জেশ্বর গ্রহ বৰ্ম্মাকে নিহত করেন । গ্রহবর্ম স্থাধীশ্বরাধিপতি রাজ্যবৰ্দ্ধনের ভগ্নী রাজ্যশ্রীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন । মালব-রাজ রাজ্যশ্ৰীকে কারারুদ্ধ করেন। রাজ্যবৰ্দ্ধন কান্যকুব্জ অধিকার করিয়া মালব-পতির শাসন করেন। রাজ্যবৰ্দ্ধন মালৰেশ্বরকে পরাজিত করিলে, কর্ণসুবর্ণরাজ, শশাঙ্ক নরেন্দ্র, রাজ্যবৰ্দ্ধনকে নিমন্ত্রণ করিয়া স্বশিবিরে আনিয়া,