পাতা:গৌড় পাণ্ডুয়া - চারুচন্দ্র মিত্র.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাতাইশ-ঘরা যাইবার মধ্য-পথে উচ্চ স্মৃত্তিকার পরিখ দেখিয়া প্রত্নতাত্বিকেরা ইহাকে দুর্গের ভগ্নাবশেষ বলিয়া নির্দেশ করেন। সম্ভবতঃ সেকন্দার শাহ প্রাসাদকে সুরক্ষিত করিবার জন্য ইহা নিৰ্ম্মিত করিয়া থাকিবেন। দুর্গপ্রাকারের ও দুর্গপ্রবেশদ্বারের ভগ্নাবশেষ এখনও . :: হতশ্ৰী পাণ্ডুয়ার পূর্বাগৌরব ও বৈভবের স্মৃতি দেখিয়া অশ্রু ফেলিতে ফেলিতে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিদায় লইয়া ভাবিতে লাগিলাম—“চিরদিন কত্ব আদিনা মসজিদের সম্মুখেই ডাক্‌বাংলা। এইখানে বসিয়া আমরা পাট, ১২ জনে রসদের হাঁড়িটা শেষ করিয়া ফেললাম। গত বারেও সম্মিলন সদস্য : দিগের দক্ষিণ-হস্তের ব্যাপার এই খানেই সমাধা হয়। আর এই ডাক্‌বাংলার্ক্স খোলা উঠানে জীবনে গ্ৰথম সাঁওতাল পুরুষ ও রমণীদিগের নাচ দেখিয়া তৃপ্তিলাভ করিয়াছিলাম। সে কি সুন্দর অঙ্গভঙ্গী! মা’ক সে কথা । সমস্ত দেখিয়া শুনিয়া গো-ঘানদ্বয়ে আমরা শয়নে পদ্মনাভ করলাম। গুরুতর পরিশ্রমের ফলে শীঘ্রই নিত্রিত হইয়া পড়িলাম। আমরা পথে আসিতে আদিতে এক বিপদে পড়িয়াছিলাম। অন্ধকার রাত্রে পথ ভুল করিয়া আমাদের গাজীখানি ভয়ঙ্কর শব্দ করিয়া এক দূহের মধ্যে পড়িয়া গেল। ঘু ঔ ছটা গেল, সঙ্গে সঙ্গে নাড়ীগুলিও স্থানচ্যুত হইবার উপক্রম হইল। সেখানে এত অধিক জল যে, আমরা নামিতে সাহল করিলাম না, এবং শুম্ভ শিষ্ট বলীবর্দীর কিছুতেই নামিতে চুছিল না। গুরুত্বর প্রকার ও চালকের : সুমিষ্ট সম্বোঞ্চলে এক পদও নড়িল না। আমাদের গাড়ীর চালক প্রায় অৰ্দ্ধ । ধন্তাধস্তি ও অপর গাড়ায়ানের নাম ধরিয়া চীৎকার করিবার পর, ፶ ኣ i ' ' ' . . ظ