পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮০
গ্রহ-নক্ষত্র

পণ্ডিতেরা খুব ভাল হিসাব করিয়া দেখিয়াছেন, অমাবস্যা সাড়ে ঊনত্রিশ দিন অন্তর হইলেও, চাঁদ পৃথিবীকে ঘুরিয়া আসে সাতাইশ দিন আট ঘণ্টায়।

 পাঁজির কথার সহিত পণ্ডিতদের কথার কেন এরকম অমিল হইল, তাহা তোমরা এখন বুঝিবে না; কেবল এইটুকু মনে করিয়া রাখ যে, যখন চাঁদ পৃথিবীকে ঘুরিতে থাকে তখন পৃথিবী স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া থাকে না। সে সূর্য্যকে ঘুরিবার জন্য নির্দ্দিষ্ট পথে চলিতে থাকে। চাঁদের গতি এবং পৃথিবীর এই গতি মিলিয়া পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সময়গুলাকে একএকটু লম্বা করিয়া দেয়। যদি পৃথিবী সূর্য্যের মত নিশ্চল হইয়া দাঁড়াইয়া থাকিত, তাহা লইলে চাঁদের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা ঠিক্ সাতাইশ দিন আট ঘণ্টা অন্তরে হইত।

 অমাবস্যার দুই দিন পরে যখন কাস্তের মত সরু চাঁদখানি পশ্চিম আকাশের গায়ে দেখা দেয়, তখন তোমরা যদি ভাল করিয়া চাঁদটিকে দেখ, তবে স্পষ্ট সমস্ত চাঁদকেই দেখিতে পাইবে। ইহা একটা মজার ব্যাপার নয় কি? সেই সময়ে কাস্তের মত অংশটা খুব উজ্জ্বল থাকে, অবশিষ্ট অংশে আব্‌ছায়া রকমের এক রকম আলো দেখা যায়। কিন্তু এই আলোতে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, আমাদের চাঁদ কাস্তের মত নয়,—তাহা গোলাকার।

 কাস্তের মত অংশটা কেন এত উজ্জ্বল তাহা তোমরা জান। কিন্তু বাকি অংশে এই আব্‌ছায়া আলো কোথা হইতে আসে, বলিতে পার কি? পঞ্চমী ষষ্ঠী তিথিতে চাঁদ যখন বেশ বড় হইয়া পড়ে, তখন ঐ আব্‌ছায়া আলো দেখা যায় না। দ্বিতীয়া, তৃতীয়া এবং চতুর্থী পর্য্যন্ত উহা সুস্পষ্ট দেখা যায়।

 চাঁদের নিজের আলো নাই। ধার-করা আলোতেই তাহার আলো, একথা তোমরা অনেকবার শুনিয়াছ। কাজেই বলিতে হয়,