পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

চাঁদের মৃত্যু

চাঁদ সত্যই মরা জিনিস। দেহের শুষ্ক হাড়গোড় বাহির করিয়া সে ভূতের মত পৃথিবীর চারিদিকে দিবারাত্রি পাক্ দিয়া বেড়াইতেছে। যেই সূর্য্য আছে, তাই তাহার গায়ে একটু আলো দেখা যায়, তাহা না হইলে সে ভূতের মতই কালো হইয়া পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করিত! ভাবিয়া দেখ, চাঁদের কি দুর্গতি! মরিয়াও তাহার মুক্তি নাই!

 এখন তোমরা হয় ত মনে করিতেছ, চাঁদের এই দুরবস্থা কেন? এক কথায় যদি ইহার উত্তর শুনিতে চাও, তাহা হইলে বলি, ছোট হইয়া জন্মিয়াছিল বলিয়াই—চাঁদের এই অকাল-মৃত্যু। আমাদের পৃথিবীর সকল জীবজন্তুই ছোট হইয়া জন্মে, তার পরে ধীরে ধীরে বড় হয় এবং পরে বুড়ো হইলে মরিয়া যায়। কিন্তু আকাশের জ্যোতিষ্কদের মধ্যে নিয়ম এই যে, কেহ ছোট কেহ বড় হইয়া জন্মে। যাহার বড় হইয়া জন্মে তাহারাই বাঁচে অনেকদিন,—শীঘ্র মরে কেবল ছোটরা। চাঁদ পৃথিবীর পুত্র, সে অদৃষ্টের দোষে ছোট হইয়া জন্মিয়াছিল, তাই সে শীঘ্র শীঘ্র বুড়ো হইয়া মরিয়াছে।

 চাঁদকে পৃথিবীর পুত্র বলিলাম কেন, বোধ হয় বুঝিলে না। জ্যোতিষীরা স্থির করিয়াছেন, এমন একদিন গিয়াছে, যখন পৃথিবীর উপরটা এখনকার মত ঠাণ্ডা ছিল না এবং শক্ত মাটি পাথর ইহার উপরে খুঁজিয়াই মিলিত না। বলা বাহুল্য, ইহা অনেকদিন আগেকার কথা। এখনকার পৃথিবী যে-সব জিনিস দিয়া প্রস্তুত তখন তাহা সব একাকারে