পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৯৮
গ্রহ-নক্ষত্র

আমাদের হিসাবে ঐ দূরত্ব অতি প্রকাণ্ড। যদি তুমি বুধে গিয়া একখানা রেলের গাড়ীতে চাপিয়া সূর্য্য দেখিতে বাহির হও, এবং গাড়ীখানা যদি ঘণ্টায় পঞ্চাশ মাইল করিয়া দৌড়ায়, তাহা হইলে প্রায় তিরাশী বৎসর পরে তুমি সূর্য্যে গিয়া উপস্থিত হইবে। অর্থাৎ যদি বারো বৎসর বয়সে গাড়ীতে চাপিতে পার, তবে পঁচানব্বুই বৎসর বয়সে তুমি সূর্য্যে পৌঁছিবে। তোমার এখনকার কালো চুলগুলি তখন পাকিয়া শাদা হইয়া যাইবে এবং এমন সুন্দর দাঁতগুলিও পড়িয়া যাইবে।

 পৃথিবীর যেমন একটি উপগ্রহ অর্থাৎ চাঁদ আছে, বুধের সেরকম একটিও চাঁদ নাই। বুধ নিজেই চাঁদের মত ছোট জিনিস,—ইহার আবার চাঁদ থাকিবে কেমন করিয়া?

 পৃথিবী বুধের চেয়ে কত বড় তাহা তোমাদিগকে আগে বলিয়াছি। জ্যোতিষীরা কি রকমে দূরের গ্রহদিগের দূরত্ব আয়তন ও ওজন ঠিক্ করেন, তোমরা বোধ হয় তাহা জান না। এখন সে-সব হিসাবপত্রের কথা তোমাদিগকে বলিলে, তোমরা তাহার একটুও বুঝিবে না। জ্যোতিষীরা কি রকমে বুধের ওজন ঠিক্ করিয়াছিলেন, এখানে কেবল তাহারি একটু বলিব।

 তোমরা ধূমকেতু দেখিয়াছ কি? প্রকাণ্ড লেজ-ওয়ালা ধূমকেতু কখনো পূর্ব্ব কখনো পশ্চিম আকাশে দেখা দেয়। ইংরাজি ১৯১০ সালের বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে এই রকম একটা প্রকাণ্ড ধূমকেতু দেখা গিয়াছিল। তোমাদের মনে আছে কি? ধূমকেতু-সম্বন্ধে সকল কথা পরে বলিব। এখন এইটুকু জানিয়া রাখ যে, ইহাদের মধ্যে কতকগুলি পৃথিবী, বুধ প্রভৃতি গ্রহদের মত এক একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ে সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসে। এই রকমই একটা ধুমকেতু আছে,—তাহার নাম এন্‌কি। এন্‌কি (Encke) নামে একজন জ্যোতিষী ইহাকে খুঁজিয়া বাহির করিয়াছিলেন বলিয়া ইহার ঐ নাম দেওয়া হইয়াছে। এই ধূমকেতুটি