পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০৪
গ্রহ-নক্ষত্র

কিছুই নাই, সেখানে যে জল নাই, বাতাস নাই, বৃষ্টি নাই এবং মানুষের বা পশুপক্ষীদের মত প্রাণীও নাই, একথা তোমাদিগকে বলাই বাহুল্য। বুধ চাঁদেরই মত জনপ্রাণিহীন শুষ্ক গ্রহ।

 জ্যোতিষীরা বুধের ফোটোগ্রাফ্-ছবি তুলিয়াছেন। ছবির স্থানে স্থানে ফাটা ফাটা দাগ দেখা যায়। জ্যোতিষীদের মতে ইহা বুধের উপরকার বড় বড় ফাটাল। হাজার হাজার বৎসর ক্রমাগত সূর্য্যের তাপ পাইয়া বুধের মাটি-পাথর সম্ভবতঃ ঐ রকমেই ফাটিয়া গিয়াছে। দূরবীণ দিয়া এই ফাটালগুলিকে চাঁদের সমুদ্রের মত স্পষ্ট দেখা যায়। এই জন্যই জ্যোতিষীরা বলেন, বুধে বাতাস বা অন্য কোনো বাষ্প নাই এবং মেঘও নাই,—থাকিলে উহার উপরকার ফাটালের দাগগুলিকে কখনই ঐ রকম সুস্পষ্ট দেখা যাইত না।

 বুধ সূর্য্যের এত কাছে আছে, কিন্তু তথাপি তাহাকে খুব উজ্জ্বল দেখায় না। উহার উজ্জ্বলতা আমাদের চাঁদেরই মত। বুধ কেন এত অনুজ্জ্বল তাহা বোধ হয় তোমরা বুঝিতে পারিয়াছ। কালো মাটি বা পাথরকে রৌদ্রে ফেলিয়া রাখিলে, তাহাকে কি কখনো উজ্জ্বল দেখায়? কিন্তু শাদা কাগজে বা কাচে রৌদ্র পড়িলে, তাহা চক্ চক্ করে। বুধের উপরটা সম্ভবতঃ কালো মাটি বা কালো পাথরের মত কোনো জিনিস দিয়া গড়া, তাই সে বেশি সূর্য্যের আলো পাইয়াও বিশেষ উজ্জ্বল হয় না।