পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০৮
গ্রহ-নক্ষত্র

আকাশের কোন নক্ষত্রটিকে শুক্র বলিতেছি, তাহা বোধ হয় তোমরা বুঝিতে পার নাই। যে নক্ষত্রটি প্রতি বৎসরে কয়েক সপ্তাহ ধরিয়া সন্ধ্যার সময়ে পশ্চিম আকাশে ধক্ ধক্ করিয়া জ্বলিতে থাকে সেইটি শুক্র। ইহাকে লোকে “সন্ধ্যা তারা” বা “সাঁজের তারা” বলে। তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, শুক্রকে চিনিয়া লইবার জন্য দূরবীণের দরকার হয় না, বা রাত জাগিয়াও বসিয়া থাকিতে হয় না।

 তোমরা “শুক তারা” বা “পোয়াতে তারাকে” দেখিয়াছ কি? সূর্য্য উঠিবার আগে পূর্ব্বের আকাশে ইহাকে দেখা যায়। ইহাও “সাঁজের তারা”র মত ধক্ ধক্ করিয়া জ্বলে। এই নক্ষত্রটাও শুক্র গ্রহ।

 তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ,—এ আবার কি? তাহা হইলে শুক্রগ্রহ কি দুটা? শুক্র দুটা নয়,—একটাই। একটি শুক্রই একসময়ে পশ্চিমে উঠিয়া “সাঁজের তারা” হয় এবং আর এক সময়ে পূবে উঠিয়া “পোয়াতে তারা” হয়। তোমরা যদি পরীক্ষা করিতে পার, তবে দেখিবে বৎসরের যে সময়ে “সাঁজের তারা” পশ্চিমে উঠে, তখন পূবে “পোয়াতে তারা” উঠে না। আবার যখন “পোয়াতে তারা” পূবে উঠিতে আরম্ভ করে, তখন “সাঁজের তারার” সন্ধান পাওয়া যায় না। একই রাত্রিতে সন্ধ্যায় “সাঁজের তারা” উঠিতেছে এবং শেষ রাত্রিতে “পোয়াতে তারা” উঠিতেছে এমন একটি রাত্রিও তোমরা বৎসরের মধ্যে খুঁজিয়া পাইবে না।

 শুক্র আকারে কত বড় বোধ হয় ইহাই তোমরা এখন জানিতে চাহিতেছ। কিন্তু এ-সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলিবার নাই। কেবল জানিয়া রাখ যে, পৃথিবী ও শুক্র যেন দুটি যমজ ভগিনী,—দুটি প্রায় একই রকমের, পৃথিবী কেবল সামান্য একটু বড়। কিন্তু ইহা ছাড়া দুইয়ের মধ্যে আর বেশি মিল দেখা যায় না। পৃথিবীর একটা উপগ্রহ অর্থাৎ চাঁদ