পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১১২
গ্রহ-নক্ষত্র

কখনই পৃথিবীর অবস্থার সহিত মিলাইয়া সৃষ্টি করেন নাই;—শুক্রের অবস্থার সহিত মিলাইয়াই জীবের সৃষ্টি করিতে হইয়াছে। সেই জন্যই বলিতেছিলাম, যদি তোমরা শুক্রে কি রকম জীব আছে দেখিবার জন্য সেখানে গিয়া উপস্থিত হও, তাহা হইলে সেখানকার জীবজন্তুর আকৃতি-প্রকৃতির সহিত পৃথিবীর জীবজন্তুর হয় ত একটুও মিল দেখিবে না। এক অদ্ভুত সৃষ্টি তোমাদের চোখে পড়িবে। জল তাপ ও আলো না পাইলে গাছপালারা বাঁচে না। শুক্রের অন্ধকার দিক্‌টাতেই কেবল জল, বরফের আকারে থাকে এবং আলো থাকে তাহার অপর অর্দ্ধেকে। কাজেই বিধাতা যদি শুক্রের গাছপালাকে পৃথিবীর গাছপালার মত শিকড় দিয়া মাটিতে বাঁধিয়া রাখেন, তবে তাহারা কখনই বাঁচিয়া থাকিতে পারে না; সুতরাং তোমরা যদি শুক্রগ্রহে গিয়া দেখ যে, সেখানকার গাছপালা পাখীর মত ঝাঁকে ঝাঁকে আকাশে উড়িয়া শুক্রের অন্ধকার দিক্ হইতে জল শুষিয়া লইতেছে এবং তার পরে আলোর দিকে আসিয়া রৌদ্র পোহাইতেছে, তাহা হইলে উহা দেখিয়া তোমাদের আশ্চর্য্য হইবার কারণ থাকে না। শুক্রগ্রহ পৃথিবী নয়, এজন্য সেখানকার কোনো অবস্থার সহিত পৃথিবীর অবস্থার একটুও মিল নাই। কাজেই সেখানকার সৃষ্টির সহিত পৃথিবীর সৃষ্টির মিল না থাকারই কথা। সেই অজানা সৃষ্টি যে কি রকম আমরা তাহা ভাবিয়া চিন্তিয়াও স্থির করিতে পারি না।