পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গ্রহকণিকা
১২৯

ঘুরিয়া আসিবার জন্য চলা-ফেরা করে। নূতন নক্ষত্রটি গ্রহদের মত নড়াচড়া করে কি না দেখিবার জন্য বড় বড় পণ্ডিতেরা পরীক্ষা আরম্ভ করিয়াছিলেন। ইহাতে তাহার স্থান-পরিবর্ত্তনও ধরা পড়িয়াছিল। কাজেই ছোট নক্ষত্রটিকে সকলেই গ্রহ বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন এবং পরামর্শ করিয়া তাহাকে সিরিজ্ (Ceres) নামে ডাকিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন।

 এই ঘটনার দুই বৎসর পরে মঙ্গল ও বৃহস্পতির প্রদক্ষিণ-পথের মধ্যে আবার আর একটি ছোট গ্রহের আবিষ্কার হইয়াছিল। পরে পরে একই রকমের দুটি গ্রহের আবিষ্কার হইলে জ্যোতিষীরা ভাবিতে লাগিলেন, ঐ জায়গায় নিশ্চয়ই আরো অনেক গ্রহ আছে। যাঁহাদের বড় দূরবীণ ছিল, তাঁহারা সকলেই নূতন গ্রহের সন্ধান করিতে লাগিলেন। খুঁজিতে খুঁজিতে আবার দুটি গ্রহের আবিষ্কার হইল। এই রকমে সেই ফাঁকা জায়গাতে একে একে প্রায় ছয় শত ছোট গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে।

 এগুলিকে ছোট গ্রহ বলিতেছি বলিয়া তোমরা বোধ হয় ত ভাবিতেছ ইহা বুধের মত বা চাঁদের মত ছোট। কিন্তু তাহা নয়। ইহারা এত ছোট যে কতকগুলি আকারে মঙ্গলের চাঁদের মত। ইহাদের মধ্যে যে দুই একটিকে বড় বলা হয়, তাহাদের মধ্যে কোনোটিরই বেড় দুই শত বা তিন শত মাইলের বেশি নয়। গ্রহদের মত এক একটা নির্দ্দিষ্ট রাস্তায় এবং বাঁধা সময়ে সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসে বলিয়াই ইহাদিগকে গ্রহ বলা হয়; তাহা না হইলে এগুলিকে উল্কাপিণ্ড বা অপর কিছু নাম দেওয়া যাইত। এই জন্যই আমরা এই ছোট গ্রহদিগের নাম “গ্রহকণিকা” রাখিয়াছি।

 দুইপাশের দুটা বড় গ্রহের মাঝে গ্রহকণিকারা কি প্রকারে আসিল, ইহা বোধ হয় তোমরা এখন জানিতে চাহিতেছ। এ সম্বন্ধে কিন্তু নানা