পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪৪
গ্রহ-নক্ষত্র

বৎসর আমাদের ত্রিশ বৎসরের সমান। কিন্তু একটা বিষয়ে শনির জিৎ আছে। পৃথিবী তাহার মেরুদণ্ডের চারিদিকে ঘুরিতে চব্বিশ ঘণ্টা সময় লয়। সেই জন্য আমাদের দিনরাত্রির পরিমাণ চব্বিশ ঘণ্টা। কিন্তু শনি দশ ঘণ্টা চৌদ্দ মিনিটের মধ্যেই তাহার মেরুদণ্ডের চারিদিকে ঘুরা শেষ করিতে পারে। তাহা হইলে দেখ, শনির এক বৎসর আমাদের বৎসরের ত্রিশ গুণ হইলেও, তাহার এক দিন এক রাত্রি দশ ঘণ্টা চৌদ্দ মিনিটের বেশি নয়। শনিতে যদি মানুষ থাকিত, তাহা হইলে তাহারা উদয়ের পাঁচ ঘণ্টা পরেই সূর্য্যকে অস্ত যাইতে দেখিত।

 সূর্য্য দূরে আছে বলিয়া শনিতে সূর্য্যের আলো ও তাপ দুইই কম লাগে। হিসাব করিলে দেখা যায়, আমরা যে তাপ ও আলো পাই শনি তাহারি নব্বুই ভাগের এক ভাগ মাত্র পায়। ভাবিয়া দেখ, সেখানে কত অল্প আলো, কিন্তু এত অল্প আলোতেই শনিকে বেশ উজ্জ্বল দেখায়। এই জন্য জ্যোতিষীরা বলেন, সম্ভবতঃ কেবল সূর্য্যের আলোতেই শনির আলো নয়; ইহার দেহের আগুন হয় ত আজও নিভিয়া যায় নাই। তাই সূর্য্যের আলোর সঙ্গে নিজের আলো মিশাইয়া তাহার এত আলো। বৃহস্পতিকে খুব উজ্জ্বল দেখিয়া তাহার সম্বন্ধেও জ্যোতিষীরা এই কথাই বলিয়াছেন।