পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৯৬
গ্রহ-নক্ষত্র

অর্দ্ধেকটা ছোট উল্কাপিণ্ডের আকারে রাস্তার যেখানে সেখানে ছড়াইয়া থাকে। কাজেই যখন পৃথিবী জীবন্ত ধূমকেতুদের পথে হাজির হয় তখনও তাহার উপরে কিছু কিছু উল্কাপাত হয়।

 আমরা এপর্য্যন্ত ছোট উল্কাদের কথাই বলিলাম। এগুলি ছোট বলিয়াই বাতাসের ভিতর দিয়া আসিবার সময়ে জ্বলিয়া পুড়িয়া ছাইভস্ম হইয়া যায়,—ইহাদের একটিও মাটিতে পড়ে না। কিন্তু যেগুলি বড়, তাহারা পুড়িতে পুড়িতে মাটিতে পড়ে। কেবল ইহাই নয়, কখনো কখনো ভয়ানক শব্দ করিয়া ভাঙিয়া খণ্ড-বিখণ্ড হইয়া তবে মাটিতে পড়ে। পুড়িবার সময়ে ইহাদের গায়ে যে আলো দেখা যায়, তাহা নানা রঙের হয়। তোমরা হয় ত কোনো সময়ে এই রকম বড় উল্কাপাত দেখিয়া থাকিবে। দেখিলে বোধ হয় যেন, হাউই বাজি তারা কাটিয়া নীচে নামিয়া আসিতেছে। এই বইয়ের প্রথমেই বড় উল্কাপাতের একটি ছবি দিয়াছি। দেখ,—সোটি কেমন সুন্দর!

 গায়ে যত জোর আছে তাহার সবটুকু দিয়া যদি একটি ঢিল উপরে ছোড়া যায়, তাহা হইলে সেটি উপরে উঠে বটে, কিন্তু কিছু পরে নীচে নামিয়া আসে। যদি আকাশের দিকে বন্দুক ছোড়া যায়, তাহা হইলে বন্দুকের গুলিরও ঐ দশা হয়,—খুব উপরে উঠে কিন্তু একটু পরে আবার মাটিতে নামিয়া আসে। ঢিল বা বন্দুকের গুলি পৃথিবী ছাড়িয়া পলাইতে পারে না। পৃথিবীর টানের এলাকার মধ্যে যদি একটি বালির কণা থাকে, তবে তাহাকেও নিশ্চয় মাটিতে পড়িতে। হয়। এমনি পৃথিবীর টান্।

 মনে কর বড় বড় এন্‌জিনিয়ার ডাকিয়া আমরা একটা খুব বড় রকমের কামান প্রস্তুত করিলাম এবং সেটি এত জোরালো হইল যে, তাহার গোলা পৃথিবীর টানের সীমা পার হইয়া আকাশে উঠিল। এই অবস্থায় গোলাটির দশা কি হইবে বলিতে পার কি? গোলা মাটিতে