পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
যমক নক্ষত্র
২১১

 তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, দূরবীণ দিয়া যদি আমরা কোনো জায়গায় হাজারটি নক্ষত্রকে দেখিতে পাই, তাহা হইলে উহারা যে কাছাকাছি আছে, একথা বলা যায় না।

 কাছাকাছি হাজার সূর্য্যের সন্ধান আকাশে পাওয়া যায় না এবং দ্বাদশ সূর্য্যদেরও খুঁজিয়া বাহির করা যায় না। কিন্তু জ্যোতিষীরা অনেক জোড়া জোড়া সূর্য্যের সন্ধান পাইয়াছেন এবং কোনো কোনে স্থানে তিন চারিটি সূর্য্যকেও একত্র থাকিতে দেখিয়াছেন। যদি দূরবীণ দিয়া আকাশ দেখিবার সুবিধা হয়, তাহা হইলে একবার দূরবীণে এগুলিকে দেখিয়া লইয়ো। খালি চোখে ইহাদিগকে জোড়া বলিয়া বোধ হয় না, দূরবীণে যুগল-মূর্ত্তি বাহির হইয়া পড়ে। তখন একটি নক্ষত্রই যমক ভাইয়ের মত দুইটি কাছাকাছি নক্ষত্র হইয়া পড়ে। ইহারা সত্যই কাছাকাছি থাকে এবং একটি অপরটিকে ঘুরিয়া বেড়ায়। যে জগতে এই রকম জোড়া জোড়া সূর্য্য পরস্পরকে ঘুরিয়া বেড়ায় সেখানকার গ্রহ-উপগ্রহেরা কত আলো ও তাপ পায় একবার ভাবিয়া দেখ। প্রত্যেক দিনই আকাশে জোড়া সূর্য্যের উদয়-অস্ত হইতেছে, এ-রকম ব্যাপার বড়ই অদ্ভুত নয় কি? কিন্তু অদ্ভুত হইলেও জগদীশ্বরের এই প্রকাণ্ড সৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার যমক সূর্য্য আছে। জ্যোতিষীরা ইতিমধ্যে ইহাদের প্রায় বারো হাজারের সন্ধান পাইয়াছেন।