পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

নক্ষত্রদের আলো বাড়ে কমে কেন?

পাৎলা মেঘে ঢাকা পড়িলে চন্দ্র-সূর্য্য ও নক্ষত্রদের আলো কমিয়া যায়। ইহার কারণ বেশ বুঝা যায়,—মেঘগুলাই উহাদের আলো আট্‌কাইয়া দেয়। কিন্তু আকাশে মেঘ নাই, অথচ নক্ষত্রদের আলো হঠাৎ কমিয়া গেল, এই রকমটি তোমরা দেখিয়াছ কি? বোধ হয় দেখ নাই, কিন্তু অতি প্রাচীন কালের জ্যোতিষীরাও ইহা দেখিয়াছিলেন এবং আজকালকার জ্যোতিষীরা শত শত নক্ষত্রের আলো এই রকমে বাড়িতে কমিতে দেখিয়াছেন।

 তোমরা হয় ত ভাবিতেছ, যখন-তখন ঐ রকমে নক্ষত্রদের আলো কমে। কিন্তু তাহা নয়, এক-একটা নির্দ্দিষ্ট সময় অন্তর আলোর বাড়া-কমা হয়। কোনো নক্ষত্রে এই পরিবর্ত্তন দেখিবার জন্য সত্তর বৎসর প্রতীক্ষা করিয়া থাকিতে হয়, আবার কোনো কোনোটির পরিবর্ত্তন আড়াই দিনে, আট দশ দিনে বা এক বৎসরেই দেখা যায়।

 পারসুস্ রাশিতে “আলগল্” নামে একটি মাঝারি রকমের উজ্জ্বল তারা আছে; সেটির আলো প্রায় তিন দিন অন্তর ভয়ানক কমিয়া আসে। তখন তাহাকে একবারে মিট্‌মিট্ করিতে দেখা যায়। অদ্ভুত নয় কি? আরব দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা এই পরিবর্ত্তন দেখিয়া নক্ষত্রটিকে “দৈত্য তারা” বলিতেন। অবশ্য তাঁরা আলো পরিবর্ত্তনের কারণ জানিতেন না, দেখিয়া শুনিয়া অবাক্ হইয়া থাকিতেন। সিটস্ (Cetus) নক্ষত্রমণ্ডলের একটা নক্ষত্রের নাম “মাইরা”। তোমরা