পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নক্ষত্রদের জন্ম
২১৭

 আকাশের কোনো এক জায়গায় হঠাৎ একটা নূতন নক্ষত্র দেখা দিল এবং তাহা শুক্র বা বৃহস্পতির মত উজ্জ্বল হইয়া জ্বলিয়া দু’মাস চারমাস পরে নিভিয়া গেল, এরকম ঘটনার কথা বোধ হয় তোমরা শুন নাই। আমরা শুনিয়াছি, কিন্তু দেখি নাই। জ্যোতিষীরা কিন্তু গত এক শত বৎসরে এই রকম সাত আটটি নক্ষত্র জ্বলিতে দেখিয়াছেন।

 এই নক্ষত্রদের জন্মমৃত্যু বড় আশ্চর্য্য ব্যাপার। ডাক্তার এন্‌ডারসন্ ইংলণ্ডের একজন বড় জ্যোতিষী। ইংরাজি ১৯০১ সালে তিনি এই রকম একটি নূতন নক্ষত্রকে বাহির করিয়াছিলেন। কোথায় কিছু নাই, রাত্রি আড়াইটার সময়ে উত্তর আকাশের এক জায়গায় ইহা জ্বলিয়া উঠিয়াছিল। প্রথমে তাহার বিশেষ আলো ছিল না, কিন্তু চতুর্থ দিনে সেটি প্রথম দিনের চেয়ে দশহাজার গুণ উজ্জ্বল হইয়াছিল। ভাবিয়া দেখ, আকাশের ঐ জায়গায় কি ভয়ানক আগুন জ্বলিয়াছিল! কিন্তু আগুন বেশি দিন থাকে নাই। জন্মের ঠিক্ পাঁচ ছয় দিন পরে নক্ষত্রটির আলো কমিতে আরম্ভ করিয়াছিল এবং আট দিনে সেটি একেবারে নিভিয়া গিয়াছিল। ১৯০১ সালের পরে আরো গোটা দুই নক্ষত্রের এই রকম জ্বলা ও নিভা দেখা গিয়াছে।

 ইংরাজি ১৮৭৬ এবং ১৮৮৫ সালে যে দুটি নূতন নক্ষত্রকে দেখা গিয়াছিল, সেগুলির কথা আরো আশ্চর্য্য। এই নক্ষত্রগুলি হঠাৎ নিভিয়া যায় নাই, প্রায় একমাস ধরিয়া তাহাদিগকে আকাশে দেখা গিয়াছিল। আজও তাহারা আকাশে জ্বলিতেছে। কিন্তু সাধারণ নক্ষত্রদের মত ইহাদিগকে খালি চোখে দেখা যায় না। দূরবীণ দিয়া দেখিলে বোধ হয়া যেন, এক-একটা প্রকাণ্ড বাষ্পরাশি আকাশে জ্বলিতেছে।

 তাহা হইলে বুঝিতে পারিতেছ, সকল নূতন নক্ষত্র জন্মিয়াই মরে না; কেহ কেহ বাঁচিয়াও থাকে।

 তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ, আকাশের এক কোণে একটি