পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সূর্য্য-জগতের উৎপত্তি

সূর্য্য ও আকাশের অসংখ্য নক্ষত্রেরা যে, একই রকমের জ্যোতিষ্ক, তাহা আগে অনেক বার তোমাদিগকে বলিয়াছি। সূর্য্য আমাদের কাছের জিনিস, তাই ইহার এত বড় আকার, এত তাপ ও আলো। নক্ষত্রেরা দূরে আছে, তাই তাহাদের তাপ বুঝা যায় না এবং আলো এত অল্প হয়।

 তাহা হইলে তোমরা বুঝিতে পারিতেছ, নক্ষত্রেরা যেমন এক-একটা নীহারিকা হইতে জন্মিয়াছে, সূর্য্য ও তাহার উপগ্রহেরা ঠিক্ সেই প্রকার একটা নীহারিকা হইতে জন্মিয়াছে। তাহা হইলে দেখ,—যে পৃথিবীতে আমরা এখন বাস করিতেছি, তাহার মাটি-পাথর এমন কি তোমার আমার দেহের অণুপরমাণু এক দিন প্রকাণ্ড নীহারিকার আকারে আকাশে জ্বলিয়া জ্বলিয়া ঘুরপাক্ খাইত। কত দিন এই রকম জ্বলা-পোড়া চলিয়াছিল জানি না,—হয় ত কোটি কোটি বৎসর চলিয়াছিল এবং তার পরে ঠাণ্ডা হইয়া, সূর্য্য, বুধ, শুক্র, পৃথিবী, চন্দ্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি প্রভৃতি গ্রহ-উপগ্রহদের সৃষ্টি করিয়াছিল।

 তোমরা হয় ত ভাবিতেছ, একটা প্রকাণ্ড নীহারিকা ঠাণ্ডা হইলে, একটা জিনিদেরই সৃষ্টি করিতে পারে; সূর্য্যের চারিদিকে যে ছোট-বড় আটটি গ্রহ এবং যে-সব উপগ্রহ আছে, তাহাদের উৎপত্তি কি রকমে হইল? জ্যোতিষীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়াছেন এবং উত্তর দিতে গিয়া যে-সকল কথা বলিয়াছেন, তাহা বড়ই আশ্চর্য্য।