পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৮
গ্রহ-নক্ষত্র

মূল নীহারিকা হইতে এই রকমেই বারে বারে চাকার মত অংশ খসিয়া পড়িয়াছিল এবং সেই সব চাকার বাষ্প ক্রমে ক্রমে জমাট বাঁধিয়া, নেপ্‌চুন্ ইউরেনস্ শনি বৃহস্পতি মঙ্গল প্রভৃতি আটটি গ্রহের সৃষ্টি করিয়াছিল। এই রকমে গ্রহদের সৃষ্টি হইলে মূল নীহারিকার যে অংশ মাঝে অবশিষ্ট ছিল, এখন তাহাই সূর্য্যের আকৃতি লইয়া গ্রহদের মাঝে দাঁড়াইয়া আছে। গ্রহেরা আসল নীহারিকার যে-সকল অংশ পাইয়াছিল, তাহা অতি অল্প, তাই বুধ শুক্র পৃথিবী মঙ্গল প্রভৃতি ছোট গ্রহেরা তাপ ত্যাগ করিয়া শীঘ্রই ঠাণ্ডা হইতে পারিয়াছে; বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনস্, নেপ্‌চুনের দেহ বড় হইলেও তাহারাও প্রায় ঠাণ্ডা হইয়া আসিয়াছে। কিন্তু সূর্য্যের ভাগে আসল নীহারিকার যে অংশ পড়িয়াছিল, তাহা গ্রহদের ভাগের মত অল্প ছিল না, তাই সূর্য্য এথনো ঠাণ্ডা হইতে পারে নাই।

 কোনো অখণ্ড নীহারিকা হইতে সূর্য্য ও গ্রহদের সৃষ্টির যে কথা বলিলাম, তোমরা তাহা বুঝিতে পারিলে কি না জানি না। এখানে যে দু’খানি ছবি দিলাম তাহা দেখিলে কতকটা বুঝিবে বলিয়া মনে করিতেছি।

 ক্রমাগত ঘুরপাক দেওয়াতে কি রকমে নীহারিকা হইতে এক একটা চাকার মত অংশ খসিয়াছিল, ২২৭ পৃষ্ঠার ছবিটি হইতে তোমরা তাহা বুঝিবে।

 ছবির মাঝখানে সূর্য্যকে দেখিতে পাইবে। ইহা ঘুরপাক্ খাইতে খাইতে প্রায় গোল হইয়া পড়িয়াছে। নীহারিকা হইতে সকলের আগে যে চাকাটি বাহির হইয়াছিল, তাহার বাষ্প প্রায় সম্পূর্ণ জমাট বাঁধিয়া একটি গ্রহের সৃষ্টি করিয়াছে। ইহা নেপচুন্। তার পরে যে চাকাটি আছে, তাহার সকল অংশ এখনো জমাট হয় নাই,—জমাট বাঁধা সুরু হইয়াছে মাত্র। ইহা ইউরেনস্। এই সব ছাড়া সূর্য্যের গায়ে-লাগা আরো কতকগুলি চাকা ছবিতে দেখিবে,—এগুলি শনি বৃহস্পতি