হইয়াছে এবং তাহার এক কোণ হইতে তিনটা বড় বড় নক্ষত্র একে একে উত্তর আকাশের নীচে নামিয়াছে। চতুর্ভুজকে যদি একখানা বড় রকমের ঘুঁড়ি বলিয়া ধরা যায়, তাহা হইলে নীচের তিনটি নক্ষত্রে ঘুঁড়ির লেজ হইয়াছে মনে হয় না কি?
ধ্রুব-নক্ষত্রকে তোমরা বোধ হয় চিনিতে পারিয়াছ। যদি চিনিয়া থাক, তবে ধ্রুবের উপরেই তোমরা ক্যাসোপিয়াকে দেখিবে এবং ক্যাসোপিয়ার উপরে অর্থাৎ ঠিক মাথার উপরে পেগাসস্কে খুঁজিয়া পাইবে।
তোমরা বোধ হয় মনে করিতেছে, ঘুঁড়ি ও তাহার লেজ সকলকেই পেগাসস্ বলে, কিন্তু তাহা নয়। কেবল ঘুঁড়িখানাই পেগাসস্ এবং তাহার লেজের তিনটি তারা এন্ড্রোমিডা-মণ্ডল। তাহা হইলে দেখ পেগাসসের লেজেই আর একটা নক্ষত্রমণ্ডল আছে।
পেগাসস্ ও এন্ড্রোমিডাকে যদি তোমরা চিনিয়া থাক, তাহা হইলে তোমরা পার্সুস্ রাশিকে চিনিতে পারিবে। এই নক্ষত্রমণ্ডল পেগাসসের লেজের শেষ তারাটিতে আরম্ভ হইয়াছে। ছবিতে দেখিতে পাইবে, লেজের সহিত আড়াআড়ি ভাবে গোটা তিনেক নক্ষত্র রহিয়াছে, এগুলি পার্সুস্ রাশির নক্ষত্র। তোমরা আগে “আল্গল” অর্থাৎ “দৈত্য-তারা”র নাম শুনিয়াছ। এটি বেশ উজ্জ্বল তারা কিন্তু প্রায় তিন দিন অন্তর ইহার আলো ভয়ানক কমিয়া আসে। এই অদ্ভুত নক্ষত্রকে তোমরা পার্সুস্-মণ্ডলে দেখিতে পাইবে। কোথায় খুঁজিলে সন্ধান পাইবে তাহা ছবিতে আঁকিয়া দিলাম। ছবি দেখিয়া আকাশে পার্সুস্কে চিনিয়া লইয়ো এবং তার পরে ছবির সহিত মিলাইয়া আল্গলের সন্ধান করিয়ো,—তাহাকে নিশ্চিত দেখিতে পাইবে।
একে একে অনেকগুলি নক্ষত্রমণ্ডলের কথা তোমাদিগকে বলিরাম। ক্যাসোপিয়া, এন্ড্রোমিডা, পার্সুস্,—এ সকলাই ইংরাজি