নাম। ইহাদের বাংলা বা সংস্কৃত নাম নাই। এই নামগুলির সঙ্গে কতকগুলি মজার গল্প আছে।
একটা গল্প তোমাদের বলি, শুন।
অনেক দিন আগে গ্রীস্দেশে সিফস্ (Cepheus) নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর রাণীর নাম ছিল ক্যাসোপিয়া। রাজা ও রাণী অনেক দিন সুখে রাজত্ব করিয়াছিলেন, কিন্তু তাঁহাদের পুত্র সন্তান ছিল না। এন্ড্রোমিডা নামে কেবল এক পরমা সুন্দরী কন্যা ছিল। কন্যার রূপ ও গুণের কথা দেশ-বিদেশে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল।
এমন সুখের রাজ্যেও কিন্তু মহা ভয় দেখা দিল। রাজধানীর নিকটে একটা কিম্ভূতকিমাকার রাক্ষস আসিয়া প্রতিদিন গণ্ডায় গণ্ডায় মানুষ খাইতে আরম্ভ করিল। যাহারা রাক্ষসটাকে দেখিয়াছিল তাহারা বলিতে লাগিল,—উহার শরীরের পিছনটা সাপের মত, সম্মুখটা কুমীরের মত, তার উপরে আবার দুই পাশে দুটা বড় বড় ডানা! যাহা হউক জলে স্থলে আকাশে সব জায়গায় সে অনায়াসে বেড়াইয়া ভয়ানক উৎপাত আরম্ভ করিল। জালে ধরিতে গেলে সে জাল খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিতে লাগিল,—শিকারীদের বাণ তার গায়ে ঠেকিয়া বাঁকিয়া যাইতে লাগিল।
রাজা গণক ঠাকুরকে ডাকিলেন। অনেক পাঁজিপুথি ঘাঁটিয়া ঠাকুর বলিলেন,—এই রাক্ষস সামান্য নয়। ইহার নাম হাইড্রা (Hydra)। স্বয়ং জলদেবতা রাগ করিয়া সিফসের রাজ্য নষ্ট করিবার জন্য উহাকে পাঠাইয়াছেন। জলদেবতার অনেকগুলি সুন্দরী কন্যা ছিল; কিন্তু রাজকুমারী এন্ড্রোমিডার রূপগুণ তাদের চেয়েও বেশি। ইহা দেখিয়াই জলদেবতা এন্ড্রোমিডাকে হত্যা করিবার জন্য হাইড্রা রাক্ষসকে পাঠাইয়াছেন।
দেশময় রাষ্ট্র হইয়া গেল, এন্ড্রোমিডাকে খাইতে না পারিলে হাইড্রা