পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমাদের জ্যোতিষ
২৪৭

সকল কারণেই বিশেষ প্রয়োজনে পড়িয়া তাঁহারা নক্ষত্রদের ভাগ করিয়াছিলেন।

 এক ঘণ্টা সময় কি রকমে নির্ণয় করা হইয়াছে, তোমরা বোধ হয় জান। পৃথিবী যে সময়ে নিজের মেরুদণ্ডের চারিদিকে একবার ঘুরপাক খায়, তাহাকে সমান চব্বিশ ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রত্যেক ভাগের সময়টুকুকে এক এক ঘণ্টা বলা হয়। কিন্তু আমাদের পূর্ব্বপুরুষেরা এরকমে সময় ভাগ করিতেন না; তাঁহারা চাঁদের গতিবিধি দেখিয়াই সময় ভাগ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। ইঁহারা হিসাব করিয়াছিলেন, এক পূর্ণিমার পর আর এক পূর্ণিমা আসিতে সাড়ে ঊনত্রিশ দিন সময় লাগে। এই সময়কেই তাঁহারা মাস নাম দিয়াছিলেন। তার পরে দিনে দিনে পশ্চিম হইতে পূর্ব্বে আসিতে চাঁদ কোন্ কোন্ নক্ষত্রের ভিতর দিয়া যায়, তাহারো হিাসাব করা তাঁহাদের দরকার হইয়াছিল। তাঁহারা চাঁদের পথের উপরকার নক্ষত্রগুলিকে চিনিয়া রাখিতে লাগিলেন এবং যে সব নক্ষত্রদের মাঝে চাঁদের একবার পূর্ণিমা হইল, একমাস পরে আবার সেখানেই পূর্ণিমা হয় কি না, তাঁহারা লক্ষ্য করিতে লাগিলেন। দেখা গেল তাহা হয় না। আজ আকাশের যে জায়গায় পূর্ণিমার চাঁদকে দেখা গেল, চাঁদ সাতাইশ দিনে ঠিক সেই জায়গায় আবার আসিয়া দাঁড়ায়, ইহাই ধরা পড়িয়া গেল। কাজেই স্থির করিতে হইল, সাড়ে ঊনত্রিশ দিন অন্তর পূর্ণিমা হইলেও সাতাইশ দিনেই চাঁদ সমস্ত আকাশকে চক্র দিয়া আসে।

 এই রকমে গতি ঠিক্ করা হইলে চাঁদ কোন্ নক্ষত্র হইতে কোন্ নক্ষত্রের কাছে এক দিনে আগাইতে থাকে, তাহা ঠিক্ করা দরকার হইল। কাজেই আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা চাঁদের পথের উপরকার সব তারাকে সাতাইশটা ভাগে ভাগ করিয়া ফেলিলেন এবং প্রত্যেক ভাগের তারাগুলি একত্র হইয়া কি রকম আকৃতি পাইয়াছে,