পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমাদের জ্যোতিষ
২৫১

বৎসর বা দিনের হিসাব করিতেন না। চাঁদকেই তাঁরা ভাল করিয়া চিনিতেন এবং চাঁদের গতি লইয়াই সময় ভাগ করিতেন।

 এক পূর্ণিমা হইতে আার এক পূর্ণিমা আসিতে, সাড়ে ঊনত্রিশ দিন সময় লাগে, একথা আগেই তোমাদিগকে বলিয়াছি। ইহাই আমাদের “চান্দ্র মাসের” পরিমাণ। এই মাসকে যদি ত্রিশটি সমান ভাগে ভাগ করা যায়, তাহা হইলে যে এক একটু সময় পাওয়া যায়, তাহাই আমাদের তিথি বা “চান্দ্রদিন”। বারো “চান্দ্রমাসে” অর্থাৎ তিন শত ষাইট্ তিথিতে আমাদের এক চান্দ্র বৎসর।

 ত্রিশ দিনকে যদি ত্রিশটা সমান ভাগে ভাগ করা যায়, তাহা হইলে এক একটা ভাগে চব্বিশ ঘণ্টা অর্থাৎ এক দিন করিয়া পড়ে, তাহা হইলে দেখ,—আমাদের চান্দ্রদিন অর্থাৎ তিথিগুলা একদিনের চেয়ে এক একটু ছোট। ষাইট্ দণ্ডে এক দিন হয়, কিন্তু তিথি হয় ঊনষাট্ দণ্ডে। এই জন্যই এক পূর্ণিমা হইতে আর এক পূর্ণিমা পর্য্যন্ত যে সাড়ে ঊনত্রিশ দিন সময় পাওয়া যায়, তাহার মধ্যে দুইটা প্রতিপদ, দুইটা দ্বিতীয়া, দুইটা তৃতীয়া প্রভৃতি ত্রিশটা তিথি খাপ খাইয়া যায়।

 আমরা চব্বিশ ঘণ্টায় এক দিন গণনা করিয়া থাকি। কিন্তু যদি কেহ এই নিয়ম না মানিয়া তেইশ ঘণ্টায় দিন গুণিতে আরম্ভ করে, তাহা হইলে মাসের ও বৎসরের হিসাবে কি রকম গোলযোগ উপস্থিত হয় ভাবিয়া দেখ দেখি। যে সময়ে চব্বিশ ঘণ্টার এক দিন শেষ হইবে, সেই সময়ে তেইশ ঘণ্টার এক দিন শেষ হইয়া আরো এক ঘণ্টা বেশি হইবে না কি? আমাদের চান্দ্র বৎসর ও প্রচলিত বৎসরের মধ্যে ঠিক এই রকমেরই গোলযোগ আসিয়া পড়ে।

 বারো চান্দ্র-মাসে তিন শত ষাইট্‌টি তিথি থাকে, কিন্তু তিথিগুলি এক দিনের চেয়ে কিছু ছোট। এজন্য দিনের হিসাব করিলে দেখা যায়, বারো চান্দ্র মাসে তিন শত চুয়ান্নটির বেশি দিন থাকে না। কাজেই