পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩২
গ্রহ-নক্ষত্র

মণ্ডল সম্বন্ধে অনেক কথা পণ্ডিতের আবিষ্কার করিয়াছেন। কিন্তু এখনো জানিতে অনেক বাকি আছে।

 সূর্য্যের কলঙ্ক পরীক্ষা করিয়া জ্যোতিষীরা যে রকমে সূর্য্যের গতি আবিষ্কার করিয়াছেন, এখন সেই কথাটা তোমাদিগকে বলিব।

 আমরা পূর্ব্বেই বলিয়াছি, পৃখিবী লাট্টুর মত নিজে নিজে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টায় একবার ঘুরপাক খায় এবং ইহাতেই দিন রাত্রি হয়। সূর্য্য এ-রকমে লাট্টুর মত ঘুরে কি না, তাহা আমাদের জানা ছিল না। এখন সূর্য্যের কলঙ্ক পরীক্ষা করিয়াই ইহারও ঘুরপাক খাওয়ার কথা জানা গিয়াছে।

 এক-রঙা গোল জিনিসের গায়ে যদি কোনো দাগ না থাকে, তবে খুব জোরে ঘুরিতে থাকিলেও, তাহা ঘুরিতেছে কি না দূর হইতে বুঝা যায় না। মনে কর, কুড়ি হাত দূরে একটা সাদারঙ-করা ফুট্‌বলের মত বড় লাট্টু ঘুরিতেছে; ইহা ঘুরিতেছে কি না, তুমি দূর হইতে বুঝিতে পারিবে কি? মনে হইবে, যেন সাদা ফুট্‌বল্‌টি স্থির হইয়া দাঁড়াইয়াই আছে। কিন্তু ঐ সাদা ফুট্‌বলে যদি একটা বড় রকমের কালো দাগ থাকে এবং বল্ যদি ধীরে ধীরে ঘুরে, তাহা হইলে সেই কালো দাগ একবার তোমার সম্মুখে আসিয়া আবার পিছনে পড়িতে থাকিবে। ইহা দেখিয়াই তুমি বুঝিতে পারিবে যে, ফুট্‌বল্ ঘুরিতেছে। সূর্য্যের আলোক-মণ্ডলে যে কলঙ্ক প্রকাশ পায়, তাহা ঐ ফুট্‌বলের কালো দাগের মত একবার সম্মুখে আসিয়া কয়েক দিনের মধ্যে সূর্য্যের পিছনে চলিয়া যায় এবং আবার সম্মুখে আসিয়া দেখা দেয়।

 ইহা দেখিয়াই পণ্ডিতেরা বলিতেছেন, পৃথিবী যেমন তাহার অক্ষরেখার উপরে দাঁড়াইয়া লাট্টুর মত ঘুরপাক খায়, সূর্য্যও ঠিক সেই রকমে ঘুরপাক খায়। তাহা না হইলে উহার কলঙ্কগুলি কখনই সম্মুখ হইতে ধীরে ধীরে পিছনে লুকাইত না। কেবল ইহাই নয়, এক