পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সূর্য্যের গ্রহণ
৩৫

দেখিয়াছিলাম। বেলা দুইটা তিনটার সময়ে সেদিন সূর্য্য এত ঢাকা পড়িয়া গিয়াছিল যে, ঠিক সন্ধ্যার মত অন্ধকার হইয়াছিল এবং সে সময়ে আকাশে দুই-চারিটা নক্ষত্রও দেখা গিয়াছিল। এই ভারতবর্ষের কতক কতক স্থানে সে-সময়ে সূর্য্য একেবারে ঢাকা পড়িয়া গিয়াছিল। ইংলণ্ড, আমেরিকা প্রভৃতি দেশের বড় বড় জ্যোতিষীরা নানা রকম যন্ত্র দিয়া এই সূর্য্য-গ্রহণ দেখিবার জন্য ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন।

 সূর্য্যের কতকটা ক্ষয় পাইয়া গেল, এরকম আংশিক গ্রহণ বৎসরের মধ্যে দুই-একবার প্রায় সব দেশেই দেখা যায়। কিন্তু সূর্য্যের সর্ব্বাঙ্গ একটু একটু ক্ষয় পাইয়া দিনে রাত হইয়া গেল, এরকম গ্রহণ খুব অল্পই হয়; তার পর আবার এই সব পূর্ণ গ্রহণ সাধারণতঃ দু’মিনিট তিন মিনিটের অধিক থাকে না। এজন্য এই-রকম গ্রহণের সময় দূর দেশ হইতে বড় বড় পণ্ডিতেরা অনেক রকম যন্ত্র লইয়া গ্রহণ দেখিবার আয়োজন করেন। গ্রহণের সময় সূর্য্যের আকাশের অনেক অংশ ভাল করিয়া দেখা যায়। তার কথা আমরা তোমাদিগকে পরে বলিব।

 সূর্য্য-গ্রহণ কি রকমে হয় জান কি? লোকে এ-সম্বন্ধে কত কথাই বলে? কেহ বলে, রাহু নামে এক দৈত্য সূর্য্যকে গ্রাস করিয়া ফেলে; কেহ বলে, সূর্য্যের ক্ষয় রোগ আছে, তাই তাহার দেহ ক্ষীণ হইয়া আসে। এ সকলই মিথ্যা গল্প; কিন্তু অতি প্রাচীন কালে লোকদের এই সব অদ্ভুত মিথ্যা গল্প সত্য বলিয়াই বোধ হইত। ঠিক কি রকমে সূর্য্যের গ্রহণ হয়, তখনকার সাধারণ লোকে তাহা জানিত না।

 একটা মজার গল্প বলি শুন। গল্পমাত্রই প্রায় মিথ্যা হয়, কিন্তু এটা সত্য গল্প। তোমরা কলম্বস্ সাহেবের নাম বোধ হয় শুনিয়াছ; ইনি স্পেন্ দেশের লোক ছিলেন। আমেরিকা বলিয়া যে একটা মহাদেশ আছে, কলম্বসের সময়ে তাহা কেহই জানিত না। কলম্বস্ সাহেবই জাহাজে করিয়া গিয়া আমেরিকা আবিষ্কার করেন। কলম্বস্