পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

সূর্য্যের বর্ণমণ্ডল

পূর্ণগ্রহণের সময়ে চাঁদ সূর্য্যকে একেবারে ঢাকিয়া ফেলিলে, সূর্য্যের আকাশের দ্বিতীয় আবরণটিকে কি-রকম দেখায়, পূর্ণগ্রহণের ছবিতে তাহা দেখিতে পাইবে। দেখ, কালো চাঁদটিকে ঘেরিয়া লাল বর্ণমণ্ডল কেমন সুন্দর দেখাইতেছে! সূর্য্যের এই আবরণটা রঙিন্ বলিয়াই জ্যোতিষীরা ইহাকে বর্ণমণ্ডল অর্থাৎ Chromosphere নাম দিয়াছেন।

 কিন্তু তাই বলিয়া ভাবিও না, লাল ফুলঝুরি বা দেশলাই জ্বালাইলে যে লাল আগুন হয়, ইহা তাই। আমাদের পৃথিবীর আকাশে কেবল একটা আবরণ অর্থাৎ বায়ুমণ্ডল আছে; ইহা পৃথিবী হইতে প্রায় পঁচিশ ক্রোশ উপরপর্য্যন্ত জুড়িয়া রহিয়াছে; সূর্য্যের দ্বিতীয় আবরণের গভীরতা কত জান?—প্রায় তিন হাজার মাইল; কোনো কোনো স্থানে দশ হাজার মাইল। এখন ভাবিয়া দেখ, এত বড় সূর্য্যটাকে ঘিরিয়া দশ হাজার মাইল গভীর যে বাষ্প দিবারাত্রি জ্বলিতেছে তাহা কি ভয়ানক! কেবল ইহাই নয়, পূর্ণ সূর্য্য-গ্রহণের সময়ে জ্যোতিষীরা দেখিয়াছেন, বর্ণমণ্ডল হইতে এক-একটা শিখা এমন উঁচু হইয়া বাহির হয় যে, তাহার বিষয় শুনিলে অবাক্ হইয়া যাইতে হয়। এখানে দুইটি শিখার ছবি দিলাম। ইহাদের মধ্যে কোনোটাই পঞ্চাশ হাজার মাইলের কম উঁচু নয়। ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে যে একটা সূর্য্য-গ্রহণ হইয়াছিল, সে সময়ে জ্যোতিষীরা একটা শিখাকে প্রায় আড়াই লক্ষ মাইল উঁচু হইতে দেখিয়াছিলেন। সূর্য্যে যে অগ্নিকাণ্ড হইতেছে এবং