পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

মহাপ্রলয়

তোমরা এখন জিজ্ঞাসা করিতে পার, আচ্ছা, প্রতিদিনই সূর্য্য যখন নিজের দেহকে এক-একটু ছোট করিয়া ফেলিতেছে, তথন গত বৎসরের সূর্য্যের চেয়ে এ বৎসর সূর্য্যকে ছোট দেখি না কেন? জ্যোতিষীরা তোমাদের এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়াছেন। তাঁহারা বলেন, যখন বিশ্ব-সংসারে মানুষ জন্মে নাই এবং পৃথিবীর জন্ম হয় নাই, সেই অতি পুরাতন কালে, সূর্য্য খুবই বড় ছিল। এখন আকাশের যে জায়গায় পৃথিবী মঙ্গল বৃহস্পতি শনি ইউরেনাস্ ও নেপ্‌চুন্ রহিয়াছে, সূর্য্যের দেহটা সেই কোটি কোটি মাইল জায়গা জুড়িয়া ছিল। জায়গা জুড়িয়া ছিল বটে, কিন্তু তাহার দেহটা খুবই হাল্‌কা ছিল। এখন সূর্য্যের দেহে যে ঘন বাষ্প আছে, তখন ইহা অপেক্ষা খুব হাল্‌কা বাষ্প তাহার দেহে ছিল। সেই সময় হইতে আজ-পর্য্যন্ত সূর্য্য নিজের দেহ গুটাইয়া ছোটই করিয়া আসিতেছে। তাই সূর্য্য আগেকার তুলনায় এত ছোট। যাহা হউক, সূর্য্যের ছোট হইবার ভাবটা এখনো আছে, কিন্তু এখন যে পরিমাণে ছোট হইতেছে তাহা নিতান্ত অল্প, তাই এখন দুই দশ বৎসরে বা দু-হাজার দশ হাজার বৎসরে সূর্য্য কতটা ছোট হইল, তাহা নজরেই পড়ে না।

 মনে কর, একটা বড় জালার ভিতরে দশ মণ তিল বোঝাই আছে, আর তুমি যেন সেই জালা হইতে প্রতিদিন এক একটি করিয়া তিল উঠাইয়া লইতেছ। প্রতিদিনই এক-একটি করিয়া তিলের ক্ষয় হইতেছে এবং