পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰাম্য উপাখ্যান । Wシ○ লোকদিগকে ইংরাজী শিপাইবার জন্য এক স্কুল সংস্থাপন করেন। ঐ স্কুল কলিকাতার সিমুলিয়া পল্লীতে সংস্থিত ছিল। ইহা “পূর্ণ মিত্রের স্কুল” নামে পশ্চাৎ খ্যাত হয়। আনন্দ বাবু ফুট ফুটে ও বুদ্ধিমান বালক ছিলেন। তঁহার পঠদ্দশা হইতেই রামমোহন রায়ের স্নেহদৃষ্টি তাহার উপর পতিত হয়। ইনি স্কুল ছাড়িয়া দিন কয়েক রামমোহন রায়ের কেরাণীগিরি করেন । ইহাকে রামমোহন রায় যে সার্টিফিকেট দিয়াছিলেন তাত আমরা আনন্দ বাবুর জ্যেষ্ঠ পুত্র রামনারায়ণ বাবুর নিকট দেখিয়াছি। রামমোহন রায় যে তেজস্ব পুরুষ ছিলেন তাহা তাহার হস্তলিপি পৰ্য্যন্ত প্ৰমাণ করিতেছে। হাতের লেখা দ্বারা মানুষ্যের স্বভাব অনেক অনুমান করা যায়। আনন্দ বাবুর স্ত্রী দেখিতে তাত ভাল ছিলেন না। যখন তাহার শ্বশুর বিবাহের পূর্বে মেয়ে দেখান তখন আপনার কন্যাকে না দেখাইয়া পাড়ার একটি সুন্দরী বালিকাকে দেখান। আনন্দ বাবু বিবাহের পর এই জুয়াচুরী টের পাইয়া অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া তাহার ১. স্ত্রীকে সপত্নী দেখাইবার মানস করিয়াছিলেন। কিন্তু রামমোহন রায় তাহাকে পুনরায় বিবাহ করিতে নিষেধ করেন। তিনি বলিয়াছিলেন যে বৃক্ষের উৎকর্ষ ফলের উৎকৃষ্টতা দ্বারা বিবেচনা করা কীৰ্ত্তব্য। এই স্ত্রী দ্বারা যদি তোমার ভাল সন্তান হয় তাহা হইলে এই স্ত্রীকেই অতি সুন্দরী জ্ঞান করা কীৰ্ত্তব্য। আনন্দ বাবুর পুত্র রামনারায়ণ