পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So গ্ৰাম্য উপাখ্যান হইতে তদুপযোগী মাল মসলা সংগ্ৰহ করিবার পন্থারই অনুসরণ করিয়াছিলেন । এক্ষণে আমরা বসু মহাশয়ের ব্যক্তিগত জীবনের সম্বন্ধে আরো কয়েকটি প্রসঙ্গ উত্থাপন পূর্বক, এই ভূমিকা শেষ করিব । তাহার কলেজ পরিত্যাগের এক বৎসর পর অষ্টাদশ বৎসর বয়ক্রম কালে, ভঁাহার পিতৃবিয়োগ হয়। মৃত্যুকালে তঁাহার পিতার বয়ক্ৰম তেতাল্লিশ বৎসর মাত্র হইয়াছিল। তাহার পিতা নন্দকিশোর বসু, রাজা রামমোহন রায়ের শিষ্য, ও তাহার। প্ৰবৰ্ত্তিত ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম মতাবলম্বি ছিলেন। পাশ্চাত্য জ্ঞানে কৃতবিদ্যা করিবার পর, ভারতবর্ষের তৎকালিন অক্সফোর্ড কাশিতে সংস্কৃত ও পাটনা নগরে আরবী ও পারসী ভাষায় বুৎপন্ন করিবার জন্য পুত্ৰকে প্রেরণ করিতে, তাহার পিতার আন্তরিক ইচ্ছা ছিল। অকালে কালগ্ৰাসে পতিত না হইলে, তিনি তাহার এই ইচ্ছা জীবনে সাধন করিয়া যাইতে পারিতেন। পিতার মৃত্যুর পর, সেই অল্প বয়সে তিনটি শিশু ভ্ৰাতা, বিধবা মাতা ও বিপুল পরিবারের ভার তঁহার উপর পতিত হয়। পিতা মৃত্যু সময়ে তাহার শোকাৰ্ত্ত পত্নীকে সাস্তুনা প্ৰদানার্থ বলিয়াছিলেন-“আমি চলিলাম, কিন্তু কৃতবিদ্য পুত্ৰ রাজনারায়ণ রহিল। আমার অবর্তমানে সেই তোমাদের দেখিবে ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবো।” পিতৃ বিয়োগের পর, রাজনারায়ণ বসু মহাশয় কলিকাতায় আসিয়া কিছু দিন