পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

η ο গ্ৰাম্য উপাখ্যান নাই।” একমাত্র পুত্ৰ-শোক-বিধুৱা বিধবা কন্যাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “সুকুমারী, তুমি যে এই নিদারুণ আঘাত এরূপ ধৈৰ্য্যের সহিত সহ্যু করিয়া চলিতেছে, ইহাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হইয়াছি । ইহজীবন ও ইহজীবনের সুখ দুঃখ ক্ষণসূৰ্য্যালোক ব্যবধানকারি দ্রুত উডিডয়মান মেঘের ন্যায় যে ক্ষণস্থায়ি, এই তত্ত্বের সার মৰ্ম্ম যে তুমি সম্যক উপলব্ধি করিতে পারিয়াছ, ইহাতে আমি অত্যন্ত সন্তোষ প্ৰাপ্ত হইয়াছি।” এই ঘটনার দেড় বৎসর পরে, আত্মীয়, বান্ধব, পুত্ৰ কন্যা ও পরিবারবর্গের সেবা শুশ্রুষা, শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মানের সমাদরের মধ্যে ৭৬ বৎসর বয়সে তিনি পরলোক গমন করেন । যে প্ৰতীভার প্রদীপ্ত প্ৰদীপ বঙ্গদেশকে আলোকিত করিবার জন্য প্ৰজ্বলিত হইয়াছিল, তাহা শাশ্বত ধ্রুবলোকে পুনঃ মহোজ্জ্বলারুপে প্ৰজলিত হইবার জন্য অদৃশ্য হইল। তাহার মৃত্যুতে সমগ্ৰ বঙ্গদেশ গভীর শোক প্ৰকাশপূর্বক র্তাহার প্রতি আন্তরিক গভীর সম্মান প্ৰদৰ্শন করিয়াছিল।