পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব । > eNG হইয়া, ধৰ্ম্ম বিষয়ে স্বক্ষ হইতে সুন্নতর তত্ত্বানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতে হয় না । সুতরাং স্বল্প হইতে স্বক্ষতর তত্ত্ব উদঘাটনের অভাবে, সাধারণ দেবতত্ত্বেই মানবচিত্ত সতত সন্তোষযুক্ত ; পুনঃ তাহাতে ভয়বিরহিন্ত । তৎপক্ষে ভয় ও বিস্ময়ের অভাব এত যে, মানব দেবতা হইতেও আত্মস্বাতন্ত্র্যরক্ষণে অপরিমিত-যত্নশীল । পারলৌকিক বন্ধনে দৃঢ়তার অভাব হেতু, মানবচিত্ত পার্থিব বিষয়ে অত্যধিক সংলগ্ন হওয়াতে, তদ্বিষয়ক যে কোন ব্যাপারে সম্যক্‌ হস্তক্ষেপে শিথিল-প্রযত্ন হয় নাই। সুতরাং সাংসারিক ও সামাজিক বিষয়াদির পরিরক্ষক যে রাজনীতি, তাহাতে যে ইহারা সম্যকৃ হস্তক্ষেপ করিবে, তাহাতে বিচিত্রতা কি ? স্বাতন্ত্র্য-প্রিয়তাহেতু, প্রত্যেক প্রদেশে এক এক রাজ্য, আবার কোন স্থানে এক প্রদেশের মধ্যেই চারি পাচটি বিভিন্ন রাজ্য দেখিতে পাওয়ার অসদ্ভাব নাই । এতদ্রুপ ক্ষুদ্র রাজত্বের মধ্যে রাজা স্বল্পকাল মধ্যে সৰ্ব্বসমক্ষে পরিচিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দর্শিত হওয়াতে, রাজদেবত্ব আর বড় একটা রক্ষণে সমর্থ হয়েন না। রাজনীতির “বিস্তীরস্থান অল্পায়তন হওয়ায় প্রজামাত্রেই তাহা আয়ত্ত করিয়া, তাহার দোষগুণের বিচারে প্রবৃত্ত এবং আবখ্যক হইলে তাহার প্রতীকারকরণেও সহজে উদ্যত হয় । এ নিমিত্ত, এখানে সৰ্ব্বদা রাষ্ট্রবিপ্লব এবং প্রজাবিদ্রোহ হওয়ার সম্ভাবনা । শাসন-প্রণালী এই কারণে কখন বা রাজতন্ত্র, কখন বা তাহা বুচিয়া সাধারণতন্তু আবার কখন বা সম্ৰান্ততন্ত্র, ইত্যাদিরূপে যখন যাহা লোকচিত্তে বলবতী, তখন তাহ প্রবর্তিত হইয়া থাকে। কখন বা দেশ আত্মকলহজাত রক্তধারায় স্নাত হয় ; কখন বা আবার রাজ-প্রজা-সম্মিলনে দেশমধ্যে মুখের তরঙ্গ প্রবাহিত হইতে থাকে। এরূপ স্থানে, প্রজামাত্রেই অল্পবিস্তর রাজনীতি-বিশারদ, তন্মৰ্ম্মজ্ঞ